Majerhat bridge collapse...শিয়ালদহ, সাঁতরাগাছি, বেলগাছিয়া সহ মোট কুড়িটি সেতু 'বিপজ্জনক, বললেন মমতা
কলকাতা: মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়া নিয়ে (majherhat bridge collapse) রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার ঘোষণা করলেন যে, কলকাতা সহ পার্শ্ববর্তী শহরতলী গুলিতে অন্তত কুড়িটি এমন ব্রিজ রয়েছে যেগুলি তাদের মেয়াদ ‘উত্তীর্ণ’ করে ফেলেছে। বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে খুব দ্রুত ওই ব্রিজগুলির মেরামতির জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান। মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে যাওয়ার দু’দিন বাদে শহরে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে এই কথাগুলি বলেন তিনি। মমতাকে ওই সাংবাদিক সম্মেলনেই প্রশ্ন করা হয় যে, ব্রিজের দায়িত্ব ছিল কোন সংস্থার ওপর? তার উত্তরে তিনি বলেন, “আমি একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করেছি, তাদের চিহ্নিত করার জন্য”। প্রসঙ্গত, মাঝেরহাট ব্রিজ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তিনজন। আহতের সংখ্যা কুড়ির বেশি।
যে 20’টি সেতুকে ‘বিপজ্জনক’ বলে উল্লেখ করেন মমতা, তাদের মধ্যে রয়েছে সাঁতরাগাছি, বেলগাছিয়া এবং শিয়ালদহ সেতুও।
রাজ্যের সেচ দফতর, কেএমডিএ (KMDA) এবং পিডব্লিউডি (PWD)-এর পক্ষ থেকে একটি কমিটি গঠন করার পর সেই কমিটিই জরুর ভিত্তিতে এই সেতু গুলির সংস্কার করবে।
এছাড়া, গতকালের বৈঠকে মমতা কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেন। তার মধ্যে একটি হল কুড়ি চাকার বড় লরিগুলির শহরের ব্রিজে ওঠার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি এবং যতক্ষণ না তদন্তের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট আসছে ততক্ষণ মাঝেরহাটে জোকা-বিবাদীবাগ মেট্রো প্রকল্পের কাজ স্থগিত থাকবে।
মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ার পর থেকেই মেট্রো রেলের প্রকল্পকে দোষ দিয়ে যাচ্ছিলেন মমতা। তিনি গতকাল বলেন, “ওই মেট্রোর প্রকল্পে পাইলিং করার সময় গোটা এলাকা জুড়ে মনে হত ভূমিকম্প হচ্ছে, এমন কথা আমাকে স্থানীয় মানুষরাই জানিয়েছেন”।
যদিও মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ার দিনই রেল বিকাশ নিগমের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে, মেট্রো প্রকল্পের সঙ্গে এই দুর্ঘটনার কোনও সম্পর্ক নেই। কারণ, যে অংশে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, সেই অংশের পাইলিং-এর কাজ এক বছর আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল।
এছাড়া, আরও যে সংস্থাকে দায়ী করেছিল রাজ্য সরকার, সেটি হল- কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “পোর্ট ট্রাস্টের যদি ভারী যন্ত্রপাতি পরিবহণের প্রয়োজন হয়, তাহলে ওঁরা রেল ওয়াগন অথবা রোরোজ ব্যবহার করুন”।