ব্রিজ ভেঙে পড়া বিষয়ক 10’টি তথ্যঃ
আজ বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ ভেঙে পড়ে চল্লিশ বছরের পুরনো মাঝেরহাট ব্রিজ। ব্রিজের তলায় ওই সময় শুয়েছিলেন বেশ কয়েকজন শ্রমিক।
একটি মিনিবাস সহ বেশ কয়েকটি গাড়ি আটকা পড়ে যায়। তড়িঘড়ি উদ্ধারকার্যে হাত লাগান স্থানীয় বাসিন্দারা।
কাছাকাছির মধ্যের থানাগুলি থেকে ছুটে আসে পুলিশের বাহিনীও। আসেন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা। নামানো হয় ক্রেন।
পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বন্ধ থাকবে চক্ররেল। শিয়ালদহ-বজবজ লাইনের ট্রেন চলাচলও ব্যাহত বলে জানিয়েছেন পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ।
রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম চলে আসেন ঘটনাস্থলে। তিনি জানান, উদ্ধারকার্য চলছে। মৃত্যুর খবর এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
দুঃখপ্রকাশ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মুহূর্তে দার্জিলিঙে সফরে রয়েছেন তিনি। সন্ধেবেলা বিমান না থাকার কারণে আজ শহরে ফিরতে পারছেন না।
এই ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ করল বিরোধীরা। বিজেপি নেতা মুকুল রায় বললেন, রাজ্য সরকার শহরের সৌন্দর্যায়ন নিয়ে এত কথা বললেও, আসলে পুরনো ইমারতগুলির রক্ষণাবেক্ষণে কোনও নজর দেয়নি। যার ফল ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
ট্র্যাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হল, তারাতলা পর্যন্ত ডায়মন্ড হারবার রোড বন্ধ করা রয়েছে আপাতত। জাজেস কোর্ট থেকে আলিপুর রোডও বন্ধ রয়েছে।
টুইট করে শোকপ্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী বললেন, এত বছরের পুরনো ব্রিজটির জন্য আরও উন্নতমানের রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থার প্রয়োজন ছিল।
এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল বেহালা শীলপাড়ার বাসিন্দা সৌমেন বাগের।