This Article is From Jun 27, 2018

পাখির বাসার জন্য বন্ধ হতে বসলো কানাডার বৃহত্তম মিউজিক ফেস্টিভ্যাল

একটা কিলডিয়ার পাখি অনুষ্ঠানের মুখ্য স্টেজের সম্মুখ ভাগে চারটে ডিম পেড়েছে। যার ফলে প্রস্তুতি সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গেছে

পাখির বাসার জন্য বন্ধ হতে বসলো কানাডার বৃহত্তম মিউজিক ফেস্টিভ্যাল

অনুষ্ঠানের মুখ্য স্টেজের সম্মুখ ভাগে চারটে ডিম পেড়েছে একটা কিলডিয়ার পাখি (প্রতীকী ছবি)

কানাডার ওটাওয়া পার্কে মঙ্গলবার দেশের বৃহত্তম আউটডোর মিউজিক ফেস্টিভ্যালের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সময় একটা পাখির বাসা বাধা দেয়।

দুই সপ্তাহের কম সময়ের মধ্যে প্রায় তিন লক্ষ মিউজিক প্রেমী বার্ষিক ব্লুজফেস্টে অংশগ্রহণের জন্য ওই অঞ্চলে এসে হাজির হবে।

5-15ই জুলাইয়ের এই অনুষ্ঠানের টিকিট গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে বিক্রি হওয়া শুরু হয়ে গেছে।

কিন্তু একটা কিলডিয়ার পাখি অনুষ্ঠানের মুখ্য স্টেজের সম্মুখ ভাগে চারটে ডিম পেড়েছে। যার ফলে প্রস্তুতি সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গেছে।

1970 সাল থেকে এই পাখির সংখ্যা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। বাদামী এবং সাদা রঙের এই পাখির বাসা কানাডার মাইগ্রেটরি বার্ডস আইন অনুসারে সুরক্ষিত রাখার নির্দেশ দেওয়া আছে।

মঙ্গলবার সকালে অনুষ্ঠানের স্টেজের কাছে এই পাখির বাসা খুঁজে পাওয়া যায়। ন্যাশনাল ক্যাপিটাল কমিশনের কড়া নজরদারি এড়িয়ে ওই পাখি বাসা তৈরি করেছে বলে জানা গেছে।  

স্টেজের প্রস্তুতি নিতে না পারায় কন্সট্রাকশন দলের লোকজন স্টেজের রেলিং, অস্থায়ী শৌচালয় এবং খাদ্য ও পানীয়ের আয়োজনের দিকে মন দেয়।

পাখিটা কবে ডিম পেড়েছে তা জানা যায়নি। তবে ডিম ফুটে বাচ্চা হতে 24 থেকে 28 দিন সময় লাগে। এইভাবে কাজ করা খুবই সমস্যার বলে ব্লুজফেস্টের আধিকারিকরা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছে।

শীঘ্রই কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ না করা গেলে প্রায় 30 মিলিয়ন ডলারের বেশী খরচ হয়ে যাওয়া এই শোয়ের ক্ষেত্রে ভীষণ সমস্যা সৃষ্টি হবে।

শোয়ের কর্তৃপক্ষ কোনও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ দপ্তরে ডিম, বাসা সমেত পাখিটা পাঠিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছে।  

তবে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ দপ্তর পাখির বাসা নাড়াচাড়া করতে নারাজ। তাদের মতে এই ভাবে মা পাখি তার ডিম ফেলে পালিয়ে যেতে পারে ফলে শিশু পাখিগুলো অনাথ হয়ে যাবে।

মঙ্গলবার দুপুরে সরকারের তরফে সংবাদ সংস্থা এএফপি-কে জানানো হয়েছে বাসাটা নিকটবর্তী কোনও সংরক্ষণ কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। সেখানে সাধারণ প্রাকৃতিক পরিবেশে ডিম গুলোকে ফুটতে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।   

ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই পাখিটার প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করেছে। “বিশ্বের সবচেয়ে বিরক্তিকর পাখি”র আখ্যা দেওয়া হয়েছে।

“চলে যাও মা পাখি”, একজন কমেন্টে লিখেছেন।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)

.