'দিদিকে বলো' সফল করলেই মিলবে টিকিট
Kolkata: শহরের সর্বত্র ''দিদিকে বলো'' (''Didi ke Bolo'') কর্মসূচি সফল করতে পারলেই মিলবে বিধানসভা নির্বাচনের টিকিট। বাস্তবায়িত করার ডাক দিল শাসকদল। শনিবার দলের সমস্ত কাউন্সিলরদের উদ্দেশ্যে এমনই বার্তা দিল তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই কর্মসূচি বাস্তবায়িত করতে পারলেই আগামী বিধানসভা নির্বাচনে লড়ার ছাড়পত্র পাবেন তাঁরা। ওইদিন ‘রুদ্ধ দ্বার' বৈঠকে মেয়র ফিরহাদ হাকিম তাঁর দলের কাউন্সিলরদের চলতি মাসের মধ্যে কমপক্ষে চারবার এই প্রচার অভিযানের নির্দেশ দেন।
কংগ্রেস-পুলিশ সংঘর্ষে উত্তপ্ত তিলোত্তমা, সৌজন্যে রাফাল
খুব স্পষ্ট ভাষায় মেয়র বলেন, ''আমরা যদি এই কর্মসূচি সফল করতে পারি তাহলে সহজেই আগামী বিধানসভা নির্বাচনে আমরা নির্বাচনের টিকিট পাব। এবং নির্বাচনে অংশ নেওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হব।''
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনে আশানুরূপ ফল করতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস। আগামী বিধানসভা নির্বাচনেও যাতে এই ভরাডুবি না ঘটে তার জন্যই নির্বাচনী কৌশলবিদ প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে একান্তে সাক্ষাৎ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশান্ত কিশোর সেই সময় ‘দিদিকে বলো' কর্মসূচির কথা বলেন। প্রথমে এই প্রচারাভিযানে ভালো সাড়া মিললেও রাজনৈতিক মহলের কটাক্ষ, বাস্তবে নাকি সেভাবে সফল হয়নি প্রশান্তের এই বিশেষ দাওয়াই। এরপরেই শাসকদলের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয় বিধানসভা নির্বাচনের আগে শহরে এবং রাজ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে এই প্রচারাভিযানকে,, এমনই বক্তব্য দলের প্রথম সারির এক কাউন্সিলরের। আগামী বছরের এপ্রিল-মে মাসে রাজ্য জুড়ে ১০৭টি নির্বাচনী কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে বিধানসভা নির্বাচন।
পাশাপাশি শহরের ৬০ শতাংশ নাগরিকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে নাগরিক নির্বাচন। দলের নেতা-কর্মীদের বিশ্বাস, এই নির্বাচন ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগাম ভবিষ্যত সম্পর্কে জানাবে। চলতি বছরের লোকসভা নির্বাচনে ২২-১৮ ফলাফলে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসকে যথাক্রমে তৃতীয় ও চতুর্থ দলে পরিণত করে রাজ্যে শাকদলের ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলেছে শক্তিশালী বিরোধী দল হিসেবে উঠে আসা বিজেপি। ফলে, আগামী বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের ওপর নির্ভর করছে শাসকদলের ভবিষ্যত।
গ্রেফতার হওয়া বিদেশিদের জন্যে আটক শিবির তৈরি করছে রাজ্য সরকার
তৃণমূল কংগ্রেস গত মাসে 'দিদিকে বলো' প্রচারাভিযানের তৃতীয় পর্বে ৬০০টি ব্লক এবং টাউনে এই বিশেষ কর্মসূচি ছড়িয়ে দিতে পেরেছিল। একই সঙ্গে ব্লক ও টাউন সভাপতিরদের প্রতি নির্দেশ ছিল ২ হাজারেরও বেশি গ্রাম ও পৌরসভা ওয়ার্ড পরিদর্শনের। চলতি বছরের ২৯ জুলাই একটি হেল্পলাইন নম্বর ওয়েবসাইট সহ প্রথম চালু হয়েছিল শাসকদলের এই নতুন উদ্যোগ।