Read in English
This Article is From Oct 01, 2019

তুমুল বৃষ্টিতে ডুবছে মালদা! বন্যার জলে ডোবা অপারেশন থিয়েটারেই চলছে অস্ত্রোপচার!

Malda Flooding: জরুরি বিভাগ, অপারেশন থিয়েটার এবং মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (এমএমসিএইচ) পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ডগুলিও জলে ডুবে গেছে।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

জরুরি বিভাগ, অপারেশন থিয়েটার এবং মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (এমএমসিএইচ) পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ডগুলিও জলে ডুবে গেছে।

মালদা :

বিহারের পরেই বাংলা, ডুবছে একইসঙ্গে! অত্যধিক বৃষ্টিপাতের কারণে মালদা জেলায় বন্যাপরিস্থিতি দেখা গিয়েছে। প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষ বন্যার কবলে পড়েছেন, জানিয়েছেন সরকারি কর্মকর্তারা। জেলা পরিষদের সভাপতি গৌর চন্দ্র মন্ডল জানিয়েছেন, মালদা জেলার সমস্ত ব্লকের নিচু অঞ্চলগুলি জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে এবং গত দু'দিন ধরে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে প্রচুর সংখ্যক মাটির বাড়ি ধসে গৃহহীন হয়েছেন মানুষ। “মালদা জেলার ৫০,০০০ পরিবারের মোট আড়াই লাখ মানুষ বন্যা মতো পরিস্থিতি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। গঙ্গার দ্বীপপুঞ্জে আটকা পড়ে থাকা বাসিন্দাদের উদ্ধার করার জন্য অভিযান চলছে,” গৌর চন্দ্র বলেন। সোমবার সকাল সাড়ে ৮ টা থেকে জেলায় ৯৯.৮০ মিলিমিটারেরও বেশি বৃষ্টি হয়েছে বলে সেচ বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

জরুরি বিভাগ, অপারেশন থিয়েটার এবং মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (এমএমসিএইচ) পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ডগুলিও জলে ডুবে গেছে। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক অমিত দাঁ জানিয়েছেন, জলে ডুবে থাকা অপারেশন থিয়েটারেই চলছে অস্ত্রোপচারও!

মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ড প্লাবিত

জেলা সদর ইংরেজ বাজারের বেশিরভাগ ওয়ার্ডই জলের নিচে রয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তারা আরও জানান, জেলা কালেক্টরেট, জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের বাসভবন এবং সরকারি অফিসগুলিতেও জল ঢুকেছে। জমে থাকা জল পরিষ্কারের দাবিতে স্থানীয় বাসিন্দারা বেশ কয়েকটি জায়গায় পথ অবরোধও করেছেন।

জেলার সব বড় নদীগুলি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। “মানিকচক ঘাটে ‘চরম বিপদসীমা'র ৬৬ সেমি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে গঙ্গা, তেলজানায় বিপদসীমার ৫৭ সেন্টিমিটার বেশি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ফুলহার। মহানন্দাও ফুঁসছে, তবে কোনও সতর্কবার্তা এখনও নেই,” জানিয়েছেন মালদার  সেচ বিভাগের কার্যনির্বাহী প্রকৌশলী প্রণব সামন্ত।

Advertisement

প্রণব সামন্ত জানিয়েছেন, কালিয়াচাক ২ ব্লকের অন্তর্গত সাকুল্লাপুর এবং মানিকচক ব্লকের কিশোরপুরে প্লাবন বাঁধটি যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মেরামত করা হচ্ছে। সোমবার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কৌশিক ভট্টাচার্য, পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া এবং প্রণব সামন্ত সাকুল্লাপুর পরিদর্শন করেছেন।

প্রণব বলেন, সাকুল্লাপুর বেড়িবাঁধের ক্ষতি হলে এই জেলার নয়টি ব্লকের বাসিন্দারা ক্ষতিগ্রস্থ হবেন, ১৯৭০-এর দশকে নির্মিত কিশোরপুর রিং বেড়িবাঁধে ভেঙে গেলে ভূতনি দ্বীপের প্রায় এক লক্ষ বাসিন্দা ক্ষতিগ্রস্থ হবেন।

Advertisement

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অর্ণব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, জেলা জুড়ে তৈরি হওয়া ১০ টি ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নেওয়া মানুষদের রান্না করা খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযানের জন্য জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী বা এনডিআরএফ দল রতুয়া এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে।

Advertisement