অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হবে বলে জানায় বিহার পুলিশ (ফাইল)
গত জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) যে ৪৯জন সেলিব্রিটি খোলা চিঠি লিখেছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিহার পুলিশ। মুসলিম, দলিতসহ অন্যান্য সংখালঘুদের পিটিয়ে মারার (Mob killing) ঘটনা দ্রুত বন্ধের দাবিতে চিঠি দেন তাঁরা। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগকারী আইনজীবী সুধীর ওঝার বিরুদ্ধে মামলাও রুজু করা হবে। অপর্ণা সেন, রামচন্দ্র গুহ, শ্যাম বেনেগালের মতো ব্যক্তিত্ত্বদের বিরুদ্ধে গত সপ্তাহে দেশদ্রোহের মামলা রুজু করা হয়, ফলে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়। বুধবার, পুলিশের মুখপাত্র জিতেন্দ্র কুমার NDTV কে জানান, মামলাটিকে “সাংঘাতিকভাবে মিথ্যা” বলে মন্তব্য করেছেন জেলা পুলিশ প্রধান এবং মামলাকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছেন। “শুধুমাত্র প্রচারের জন্যই” মামলা রুজু করা হয়েছিল বলে জানান তিনি।
জয় শ্রী রাম বিতর্কে মোদিকে চিঠি লিখলেন অপর্ণা সেন, রামচন্দ্র গুহরা
তিনি বলেন, “মামলাটি বন্ধে সুপারিশ করেছেন এসএসপি এবং কোনও কারণ ছাড়াই মিথ্যা মামলা করার অভিযোগে অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করার সুপারিশও করা হয়েছে”। তিনি আরও বলেন, “দু-একদিনের স্থানীয় আদালতে চূ়ড়ান্ত রিপোর্ট দেবেন তদন্তকারী আধিকারিক”।
অভিযোগকারী সুধীর ওঝার সঙ্গে যোগ রয়েছে রামবিলাশ পাশোয়ানের লোকজনশক্তি পার্টির। এনডিএর জোটসঙ্গী রামবিলাশ পাশোয়ানের দল, দলীয় সূত্রের খবর, মামলাটি নীতিশ কুমার সরকারের একটি অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
বুধবার, বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদি বলেন, যে কারও বিরুদ্ধে ফালতু মামলা করা একটি বৈশিষ্ট রয়েছে সুধীর ওঝার, একবার তিনিও এর ভুক্তভোগী হয়েছিলেন।
ঝাড়খণ্ডে গণপিটুনিতে যুবকের মৃত্যু, পাঁচ জন গ্রেফতার, সাসপেন্ড ২ পুলিশ আধিকারিক
একটি বিবৃতিতে সুশীল মোদি বলেন, শুধুমাত্র প্রচারের জন্য, খবরের কাগজের রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে তিনি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, চলচিত্র সুপারস্টার অমিতাভ বচ্চন, অথবা ঋত্ত্বিক রোশনের মতো ব্যক্তিত্ত্বদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এই বিষয়ে বিজেপি, আরএসএস বা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে টানা ভুল হবে।
আজকের গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলি দেখতে ক্লিক করুন:
বিজয়া দশমীর ভাষণে আরএসস প্রধান মোহন ভগবত বলেন, “সংবিধানের সীমাবদ্ধতার থেকে কাজ করা উচিত সমাজের”, “তাতে বিরোধী মতামত যাই হোক, বা যতই প্ররোচনামূলক পদক্ষেপ হোক না কেন”।
রবিবার, NDTV কে পুলিশ জানিয়েছে, এবিষয়ে সরকারের কিছু করার নেই। রাজ্য পুলিশের প্রধান গুপ্তেশ্বর পাণ্ডে NDTV কে বলেন, আদালতের নির্দেশের পরেই এটা করা হয়েছিল, ১১ নভেম্বরের মধ্যে পুলিশকে চূড়ান্ত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছি।