মুখ্যমন্ত্রীর মনে হয় বাঙালিদের বুদ্ধিমত্তাকে বিজেপি ভয় পায়।
কলকাতা: বাংলাদেশ থেকে আসা ইলিশ, জামদানি শাড়ি অথবা মিষ্টি দইকেও অনুপ্রবেশকারী বলা হতে পারে! এমনটাই মনে করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভায় নিজের ঘরে সোমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এভাবেই ফের একবার অসমের নাগরিক তালিকার চূড়ান্ত খসড়া প্রসঙ্গে সুর চড়ালেন মমতা। আবারও বললেন গোটা ব্যাপারটাই বাঙালিদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত। তাঁর দাবি যে 40 লক্ষ মানুষের নাম তালিকার খসড়া থেকে বাদ পড়েছে তাঁরা ভারতীয়।
এরপর নিজের পরিবারের কথা বলতে শুরু করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান বাবা এবং মায়ের জন্মের শংসাপত্র তাঁর কাছে নেই। এমনকী তাঁদের জন্মদিনও নেত্রীর অজানা। শুধু মৃতুদিন দুটি তাঁর জানা আছে। তাই সরকার যদি বাবা- মায়ের জন্ম সংক্রান্ত তথ্য চায় তাহলে তিনি সেটা দিতে পারবেন না । একই ভাবে তাঁর মনে হয় এরকম অসহায়তার জন্যও অনেকে তথ্য দিতে পারছেন না।
এনআরসি প্রসঙ্গে মমতা ও তাঁর দল তৃণমূল সবচেয়ে বেশি সরব। এদিন সেই পুরনো ঝাঁঝ ধরে রেখে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘এনআরসির নামে দেশে যা হচ্ছে তা অন্যায়। চরমপন্থী চিন্তাভাবনা নিয়ে বিজেপি মানুষের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা করছে। এটা প্রতিশোধের রাজনীতি। আমরা এসবে বিশ্বাস করি না। ’
ফের একবার বিজেপিকে বাংলা ও বাঙালি বিরোধী বলে মন্তব্য করে মমতা জানান, ওদের মনে রাখা উচিত বিশ্বের পঞ্চম জনপ্রিয়তম ভাষা বাংলা। মুখ্যমন্ত্রীর মনে হয় বাঙালিদের বুদ্ধিমত্তাকে বিজেপি ভয় পায়। আর তাই বাঙালিদের পছন্দ করে না। শুধু বাংলা নয় মুখ্যমন্ত্রীর ধারনা হিন্দি, মারাঠি এবং দক্ষিণ ভারতীয় ভাষায় যারা কথা বলে তাদেরও সম্মান দেয় না বিজেপি।