আবারও শহরের পথে মুখ্যমন্ত্রী। (প্রতীকী)
হাইলাইটস
- সকলকে সচেতন করতে আবারও কলকাতার পথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
- সকলকে ঘরে থাকার আর্জি জানান মুখ্যমন্ত্রী
- এই নিয়ে টানা তিনদিন তিনি পথে নামলেন মানুষকে সচেতন করতে
আবারও কলকাতার পথে নামতে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee)। এই নিয়ে টানা তৃতীয় দিন লকডাউনের শহরের পথে মুখ্যমন্ত্রী। সকলকে লকডাউনের (Lockdown) নিয়ম কঠোর ভাবে মেনে চলার নির্দেশ দেন তিনি। তিনি জানান, করোনা (Coronavirus) সংক্রমণের শৃঙ্খলকে ভাঙতে হলে লকডাউন ছাড়া উপায় নেই। বৃহস্পতিবার কলকাতার মৌলালি ও বেহালা চত্বরে যান মুখ্যমন্ত্রী। গাড়িতে বসে মাইকে সকলের উদ্দেশে আর্জি জানিয়ে তিনি বলেন, কেউ যেন কোনও জমায়েত না করেন বা আড্ডা দিতে বেরোন কিংবা পথে ঘুরে বেড়ান। সকলকেই ঘরে থাকার নির্দেশ দেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘‘মনে রাখবেন সামাজিক দূরত্বের অর্থ এই নয় যে আপনি আপনার কাছের মানুষদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছেন। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখলে তা করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জিততে সাহায্য করবে এবং কয়েক মাস পরে দুর্গাপুজো উপভোগ করতে পারবেন। দয়া করে বাইরে বেরোবেন না।''
‘অপমানিত' মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালকে মনে করালেন তিনি ‘মনোনীত'
তিনি আরও বলেন, ‘‘লকডাউন নতুন শব্দ। এর সম্পর্কে আমরা এর আগে জানতাম না। কিন্তু এটাই একমাত্র পথ। আমরা দেখেছি মানুষ নানা সমস্যায় পড়েছেন। আমরা তা প্রশমিত করতে সাহায্য করেছি।''
২০১৬ সালের নোটবন্দির পরে সবচেয়ে অভূতপূর্ব হিসেবে লকডাউনের কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়তে গেলে এটা ছাড়া যে আর উপায় নেই বারবার সেকথা বলেন তিনি।
নমুনা পরীক্ষার মাত্রা নিয়ে উদ্বেগ! মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি চিকিৎসক সংগঠনের
রাজ্যের পরিস্থিতি যে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে সেকথা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। কারও মধ্যে কোভিড-১৯ সংক্রমণের লক্ষণ থাকলে তিনি যেন তা না লুকোন। তিনি বলেন, ‘‘করোনো পজিটিভ রোগীরা সুস্থ হয়ে যাচ্ছেন। এমনকী আজই ৩৪ জন রোগী সুস্থ হয়ে গিয়েছেন রাজ্যে।''
তাঁর রাস্তায় বেরিয়ে পড়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘আপনাদের প্রতিনিধি হিসেবে আমি কী করে ঘরে বসে থাকতে পারি? আমাকে পথে থাকতেই হবে। আমাকে আপনাদের পাশে থাকতে হবে। কিন্তু আমি সমস্ত সাবধানতা অবলম্বন করেছি। আমি লকডাউন অমান্য করতে বেরোইনি। আমরা যদি গাইডলাইন মেনে চলি তাহলে আমরা সুস্থ থাকব।''
পাশাপাশি পারিবারিক সদস্যদের করোনা সংক্রমণ নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘‘যদি আপনাদের পরিবারে কারও মধ্যে করোনা সংক্রমণের চিহ্ন থাকে তাহলে দয়া করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং পুলিশের সাহায্য গ্রহণ করুন।''
গত মঙ্গলবার এবং বুধবারও মুখ্যমন্ত্রী পথে নেমে সকলকে লকডাউনের সময় ঘরে থাকার আর্জি জানান।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)