This Article is From Aug 14, 2018

কন্যাশ্রী নিয়ে একগুচ্ছ ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী

রাষ্ট্রসংঘের পুরস্কারপ্রাপ্ত কন্যাশ্রী প্রকল্পের আওতায় আসার জন্য পরিবারের বার্ষিক আয়ের ওপর কোনও বাধা নিষেধ রইল না।

Advertisement
Kolkata Translated By

"কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়টি হবে, আমার পক্ষ থেকে এই রাজ্যের কন্যাদের দেওয়া একটি উপহার”।

কলকাতা:

কন্যাশ্রী নিয়ে একগুচ্ছ ঘোষণা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তিনি জানালেন, রাষ্ট্রসংঘের পুরস্কারপ্রাপ্ত কন্যাশ্রী প্রকল্পের আওতায় আসার জন্য পরিবারের বার্ষিক আয়ের ওপর কোনও বাধা নিষেধ রইল না। তিনি আরও বলেন, রাজ্য সরকার খুব শীঘ্রই কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের সূচনা করবে। রাজ্যের কন্যা শিশু ও কিশোরীদের পড়াশোনার খরচ এবং আঠারো বছর বয়সের আগে বিয়ে যাতে না হয় তার দেখভাল করাই এই কন্যাশ্রী প্রকল্পের লক্ষ্য। গত বছর মমতাকে রাষ্ট্রসংঘ থেকে পুরস্কারও প্রদান করা হয় এই প্রকল্পের জন্য। এতদিন পর্যন্ত, যে সব কিশোরীদের পরিবারের বার্ষিক রোজগার এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকার কম, তারাই এই সুবিধা পাওয়ার যোগ্য।    

“আমি ঘোষণা করছি, কন্যাশ্রী প্রকল্পের আওতায় নিজেদের নাম নথিভুক্ত করার জন্য বার্ষিক আয়ের আর কোনও নির্দিষ্ট সীমা থাকবে না। এর ফলে বহু কিশোরী তাদের স্বপ্নকে সফল করার দিকে আরও একধাপ এগিয়ে যেতে পারবে”, নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আজ ‘কন্যাশ্রী দিবস’-এ এই কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান এখনও পর্যন্ত প্রায় পঞ্চাশ লক্ষ ছাত্রী এই প্রকল্প থেকে উপকৃত হয়েছে। বার্ষিক আয়ের নির্দিষ্ট সীমা সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞাটি সরিয়ে দেওয়ার পর বছরে আরও তিন লক্ষ কিশোরী উপকৃত হবে কন্যাশ্রী থেকে।

“এই কারণে, রাজ্য সরকারকে আরও অতিরিক্ত 200 কোটি টাকা খরচ করতে হবে। কিন্তু তাতে আমি কিছু মনে করি না। আমার রাজ্যের কন্যারা আরও দু’লক্ষ কোটি টাকা নিয়ে আসবে”, বলেন তিনি।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, “আমি কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলতে চাই। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি হবে, আমার পক্ষ থেকে এই রাজ্যের কন্যাদের দেওয়া একটি উপহার”।

প্রসঙ্গত, 2013 সালের 1 অক্টোবর রাজ্যের নারী ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রকের উদ্যোগে শুরু করা হয় ‘কন্যাশ্রী প্রকল্প’। এতদিন পর্যন্ত, এই প্রকল্পের জন্য মন্ত্রক থেকে খরচ করা হয়েছে মোট ছ’হাজার কোটি টাকা।

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কন্যাশ্রী প্রকল্প’ শুরু হওয়ার পর রাজ্যে স্কুলছুট কিশোরীর সংখ্যা 11.5 শতাংশ কমে গিয়েছে। তৃণমূল সুপ্রিমো আরও জানান, সংসদে সবথেকে বেশি মহিলা সাংসদ রয়েছে তাঁর দল থেকেই।   

Advertisement