This Article is From Jun 11, 2019

পুলিশের একাংশ কাজ করছে না, মানলেন মমতা, পদত্যাগ করুন, দাবি বিজেপির

বিরোধী শিবিরের দাবি পুলিশ ঠিক মতো  কাজ না করাতেই এই পরিস্থিতি।

পুলিশের একাংশ কাজ  করছে না, মানলেন মমতা, পদত্যাগ করুন, দাবি বিজেপির

ভোট পর্বে তো বটেই পরেও রাজ্যে রাজনৈতিক সংঘর্ষ হয়েছে।

হাইলাইটস

  • বিরোধী শিবিরের দাবি পুলিশ ঠিক মতো কাজ না করাতেই এই পরিস্থিতি
  • । স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফেও এই বার্তাই এসে পৌঁছেছে
  • রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও মেনে নিলেন পুলিশের কাজে প্রশ্ন আছে
কলকাতা:

গত দু'দিনের মধ্যে বসিরহাটে (Basirhat)  তিন জনের প্রাণ গিয়েছে। লোকসভা নির্বাচন (Lok sabha Elections 2019)  মেটার পরেও রাজ্যে রাজনৈতিক সংঘর্ষ (Political Violence) থামছে না। বিরোধী শিবিরের দাবি পুলিশ ঠিক মতো  কাজ না করাতেই এই পরিস্থিতি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের (Union Home Ministry) তরফেও এই বার্তাই এসে  পৌঁছেছে। এবার খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (Bengal CM) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bannerjee) মেনে নিলেন পুলিশের কাজে প্রশ্ন আছে। তিনি বলেন আমার কাছে খবর আছে একাংশের পুলিশ ঠিক করে কাজ করছে না। ইতিমধ্যেই রাজ্য পুলিশের ডিজিকে এই পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন। স্বভাবতই মমতার এ হেন  স্বীকারোক্তি নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে বিন্দুমাত্র সময় নেয়নি বিজেপি। দলের নেতা মুকুল রায় বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পাশাপাশি পুলিশ মন্ত্রীও। আর তিনি নিজেই বলছেন পুলিশ ঠিকমতো কাজ করছে না। তাই তার পদত্যাগ করা উচিত। 

যৌন হেনস্থা এবং দুর্নীতির অভিযোগে সরতে হল দেশের এক ডজন কর কর্তাকে

ভোট পর্বে তো বটেই পরেও রাজ্যে রাজনৈতিক সংঘর্ষ হয়েছে। সবচেয়ে বড় ঘটনা ঘটেছে  উত্তর চব্বিশ পরগনার সন্দেশখালিতে। সে সম্পর্কে  কেন্দ্র গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে। নির্বাচনের প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরেও কেন এত সংঘর্ষ হচ্ছে তা নিয়ে চিন্তিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এরপরই রবিবার মন্ত্রকের তরফ একটি ‘পরামর্শ বার্তা' রাজ্য সরকারকে দেওয়া হয়। তাতে লেখা হয়েছে গত কয়েক সপ্তাহে যে সন্ত্রাস হচ্ছে সেগুলি দেখে মনে হচ্ছে আইন বলবৎ করা দায়িত্বে যে সমস্ত সংস্থা রয়েছে তারা নিজেদের কাজ ঠিক করে করতে পারছে না। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আয়ত্তে রাখতে তারা ব্যর্থ। 

‘‘বিজেপি যা বলছে আপনারা তাই লিখছেন'': সংবাদমাধ্যমকে একহাত নিলেন মমতা

পশ্চিমবঙ্গের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই আছে বলে জবাব দেয়  রাজ্য প্রশাসন। চিঠি লিখে  মুখ্যসচিব মলয় দে বলেন,  প্রত্যেকটি সংঘর্ষের ঘটনায় রাজ্য সরকার দ্রুত এবং প্রয়োজনীয় সমস্ত রকম ব্যবস্থা করেছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। নির্বাচন শেষ হওয়ার পর কিছু সমাজবিরোধী কয়েকটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটিয়েছে। কিন্তু রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা  নিয়ন্ত্রণের ভার যাদের হাতে তারা অত্যন্ত কঠোর ভাবে পরিস্থিতির মোকাবেলা করেছেন। বিন্দুমাত্র দেরি না করে উপযুক্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর তাই এমন ভাবার কোনও পরিস্থিতি নেই যে রাজ্য প্রশাসন এবং আইন নিয়ন্ত্রণের ভার যাদের হাতে রয়েছে তারা নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ। পাশাপাশি তিনি দাবি করেন সাধারণ মানুষও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে না।

.