নয়া দিল্লি: চলে গেলেন অরুণ জেটলি (Arun Jaitley)। রেখে গেলেন তাঁর সুবিশাল কর্মকাণ্ড। বেশ কয়েক বছর ধরেই কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। বাজেট অধিবেশনের আগে বিদেশে গিয়ে চিকিৎসাও করিয়ে আসেন তিনি। সাময়িক সুস্থ হয়ে উঠলেও গত কয়েকদিন ধরেই ভালো যাচ্ছিল না তাঁর শরীর। ভর্তি হয়েছিলেন দিল্লির এইমস হাসপাতালে (AIIMS)। সেখানেই শনিবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন জেটলি।
জেটলির মৃত্যুর খবর ছড়াতেই টুইটে একে একে শ্রদ্ধা (tributes) জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ, নীতিন গড়কড়ি, দেবেন্দ্র ফড়নবিশ ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), সহ প্রথম সারির সমস্ত নেতা-মন্ত্রীরা। টুইটে মমতা জেটলিকে স্থিতধী, বাগ্মী এবং দক্ষ আইনজীবী বলে বর্ণনা করেন। তিনি আরও বলেন, "রোগের সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে হার মেনেছেন জেটলি। ভারতীয় রাজনীতিতে তাঁর অবদান অবিস্মরণীয়।" দেখুন সেই টুইট:
বিজেপি সভাপতি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, জেটলির মৃত্যুকে ব্যক্তিগত ক্ষতি বলে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, "অরুণ জেটলির মৃত্যুতে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি শুধুই সংগঠনের প্রবীণ নেতা নন, পরিবারের এক অবিচ্ছেদ্য সদস্যকেও।" দেখুন সেই টুইট:
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, "দেশের অর্থনীতিকে অন্ধকার থেকে বের করে এনে সঠিক পথে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য জেটলিজি সর্বদা স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। বিজেপি অরুণজির উপস্থিতি মিস করবে। আমি তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাই।" দেখুন সেই টুইট:
মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি জানান, "অরুণজি জাতির সেবা করেছেন আজীবন। নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছিলেন সংগঠনের কাজে। তাঁর প্রতি রইল আমার শ্রদ্ধাঞ্জলি। "
বিরোধী দল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এক শোকবার্তায় বলা হয়, "প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। তাঁর পরিবারের প্রতি রইল আমাদের সমবেদনা। আমরা সব সময়েই তাদের সঙ্গে রয়েছি।"
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জেটলির অকাল মৃত্যুকে জাতির জন্য এক বিশাল ক্ষতি বলে বর্ণনা করেন,"প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী এবং প্রবীণ নেতা অরুণ জেটলির অকালমৃত্যু জাতির জন্য বড় ক্ষতি। দক্ষ আইনজীবীর পাশাপাশি তিনি ছিলেন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ। দেশ তাঁর কর্মকাণ্ডকে আজীবন মনে রাখবে।"