This Article is From Jul 11, 2019

সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ বিধানসভায়

বিধানসভায় দুই বিরোধী দল কংগ্রেস ও সিপিআইমের কাছে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়াইয়ের আবেদন জানান পরিষদীয়মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ বিধানসভায়

বিধানসভায় দুই বিরোধী দল কংগ্রেস ও সিপিআইমের কাছে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়াইয়ের আবেদন জানান পরিষদীয়মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। (ফাইল ছবি)

কলকাতা:

রাজ্যে সাম্প্রদায়িক শক্তির উথ্থান নিয়ে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস এবং সিপিআইএমের প্রস্তাব পাশ হয়ে গেল বিধানসভায়। শাসকদলের তরফে উল্লেখ করা হয়েছে, এই পরিস্থিতিতে লড়াইয়ের “সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য” মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভায় দুই বিরোধী দল কংগ্রেস ও সিপিআইমের কাছে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়াইয়ের আবেদন জানান পরিষদীয়মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যদিও তাতে কোনও কাজ হয়নি। এরপরেই আলাদা করে প্রস্তাব পেশ করা হয়। রাজ্যে সাম্প্রদায়িক শক্তির উথ্থানের জন্য প্রায়ই তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগে কংগ্রেস ও সিপিআইএম। তাদের অভিযোগ, ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজনের কারণেই লোকসভা নির্বাচনে এই সাফল্য পেয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে “মুসলিম তোষণ”-এর অভিযোগে সরব বিজেপি

পশ্চিমবঙ্গের পুরসভাগুলির প্রশাসনের মেয়াদ বৃদ্ধি করতে বিল পাস বিধানসভায়

আলোচনা চলাকালীন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “আমাদের দেশ আজ সাম্প্রদায়িকতার মুখে পড়েছে। মন্দির বা মসজিদের সামনে “জয় শ্রীরাম” বা “আল্লাহ আকবর” বলা কোনও অপরাধ নয়। তবে সেটা যদি অপরের আবেগকে আঘাত করতে ব্যবহার করা হয়, তাহলে সেটা অপরাধ। আমাদের সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে”। পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কে বেশী সচেতন, তা নিয়ে ঝগড়া না করে “আমাদের উচিত একসঙ্গে লড়াই করা”। তিনি বলেন, “সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারবে না। সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়”।

সাম্প্রদায়িকতার ওপর পৃথক প্রস্তাব আনছে তৃণমূল, সিপিআইএম, কংগ্রেস

বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান বলেন, এটা সত্যি, সমস্ত শক্তি দিয়ে সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়তে হব, তবে পশ্চিমবঙ্গে এর উত্থান কারণ ভুলে গেলে চলবে না। কংগ্রেস এবং সিপিআইএমের যৌথ প্রস্তাব পেশ করেন আব্দুল মান্নান। তিনি বলেন, “এই সরকারের আমলে বাংলায় ক্ষমতা বেড়েছে সাম্প্রদায়িক শক্তির। সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সবচেয়ে বেশী কঠোর কংগ্রেস এবং বামফ্রন্ট। রাজ্যে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে তারা যে যথেষ্ঠ কঠোর, তা আচরণের মধ্যে দিয়ে বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করতে হবে রাজ্য সরকারকে”। আব্দুল মান্নানের সুরেই গান বামফ্রন্টের পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী।

ক্ষমতায় এসে প্রথমবার তপশিলি জাতি, উপজাতি বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী

শুধুমাত্র গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণ করতেই এই প্রস্তাব, বলে অভিযোগ করেন বিজেপি পরিষদীয় দলের নেতা মনোজ টিগ্গা। তিনি বলেন, “সাম্প্রদায়িকতার বীজবপন করেছে তৃণমূল সরকার। বিজেপি কি তৃণমূল সরকারকে, ইমামদের ভাতা দিতে বলেছিল? ইমামরা যদি ভাতা পান, হিন্দু ও খ্রিষ্টান যাজকরা কী দোষ করলেন? আমরা সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস এর নীতিতে বিশ্বাস করি”।

রাজ্যে সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থানের জন্য কারা দায়ী, তা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ও বাম-কংগ্রেসের মধ্যে মতভেদ থাকলেও, সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, শুক্রবার বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বসবেন তাঁরা। সেখানে একটি যৌথ প্রস্তাবের খসড়া তৈরি করা হবে, যা পাঠানে হবে কেন্দ্রের কাছে।

"পরিস্থিতি অনুকুলে হলে তিস্তার জলচুক্তি মেনে নিতাম", বললেন মুখ্যমন্ত্রী

জাতীয় স্তরে বিজেপির বিরুদ্ধে একসঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য গত সপ্তাহেই বাম ও কংগ্রেসকে বার্তা দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও তাঁর সেই বার্তা খারিজ করে দেয় দুই দল। তাদের অভিযোগ, রাজ্যে বিজেপির উথ্থানের জন্য দায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নীতিই।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.