This Article is From Feb 05, 2019

কংগ্রেসের সঙ্গে সমন্বয় সাধনের বার্তা দিলেন মমতা

এতদিন আঞ্চলিক দলগুলির ভূমিকা নিয়েই সওয়াল করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা  নির্বাচনে  বিজেপিকে ‘ক্ষমতাচ্যুত’ করতে আঞ্চলিক দলগুলিই মুখ্য ভূমিকা  নেবে বলে  দাবি করে এসেছেন মমতা।

কংগ্রেসের সঙ্গে  সমন্বয় সাধনের বার্তা দিলেন মমতা

বিজেপি  বিরোধী জোট গঠনে প্রথম থেকেই বড় ভূমিকা নিয়ে এসেছেন মমতা।

হাইলাইটস

  • সোমবার কয়েকটি বিরোধী দলের নেতা- নেত্রীরা এসে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন
  • মমতা বলেন, একসঙ্গে কাজ করা আমাদের দায়িত্ব
  • বিজেপি বিরোধী জোট গঠনে প্রথম থেকেই বড় ভূমিকা নিয়ে এসেছেন মমতা
কলকাতা:

এতদিন আঞ্চলিক দলগুলির ভূমিকা নিয়েই সওয়াল করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা  নির্বাচনে  বিজেপিকে ‘ক্ষমতাচ্যুত' করতে আঞ্চলিক দলগুলিই মুখ্য ভূমিকা  নেবে বলে  দাবি করে এসেছেন মমতা। এবার নিজের অবস্থান  বদলানোর সংকেত দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। জানালেন জাতীয় স্তরে  কংগ্রেসের সঙ্গে  সমন্বয় সাধন করা  তাঁর দলের দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়ি গিয়ে রবিবার  সন্ধ্যায় আটক হন সিবিআই আধিকারিকরা। তারপর থেকে  গোটা পরিস্থিতি ক্রমশ বড় আকার নিচ্ছে। সেই রাতেই ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে ধর্না মঞ্চ তৈরি হয়। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই থাকছেন সেখানে। তবে এটা  তাঁর কাছে  ধর্না নয় ‘সত্যাগ্রহ'। প্রথম থেকেই  বিরোধী দলগুলির সমর্থন পেতে  শুরু করেন মমতা। আর সোমবার কয়েকটি  বিরোধী দলের নেতা- নেত্রীরা এসে তাঁর সঙ্গে  দেখাও করেন।                                   

 সিবিআই স্বাধীন সংস্থা, ওদের নিজেদের কাজ করতে দিন, মমতাকে তোপ মুকুলের

মঞ্চে হাজির হওয়া ডিএমকে নেত্রী তথা তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত করুণানিধির কন্যা কানিমোঝি এবং লালু-পুত্র তেজস্বী যাদবকে স্বাগত জানিয়ে  মমতা বলেন, একসঙ্গে  কাজ করা আমাদের দায়িত্ব। আর জাতীয় স্তরে কংগ্রেসকে সঙ্গে নেওয়াও আমাদের দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। 

বিজয় মালিয়াকে ফিরিয়ে আনার সীলমোহর পাশ হয়ে গেল

বিজেপি  বিরোধী জোট গঠনে প্রথম থেকেই বড় ভূমিকা নিয়ে এসেছেন মমতা। তাঁর উদ্যোগেই ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেড ময়দানের মঞ্চে এসেছিলেন ২৩টি বিরোধী দলের প্রতিনিধিরা।

দেখুন ভিডিওঃ

এরপর সিবিআইয়ের সঙ্গে  সংঘাত শুরু হতেই  বিরোধী দলগুলিকে মমতার পাশে  থাকার বার্তা  দেয়। অনেকেই তাঁকে  ফোন  করেন। কেউ আবার  টুইট করেন। ঘটনাটি প্রকাশ্যে  আসার  কিছুক্ষণের মধ্যেই মমতাকে ফোন করেন ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধীর  রাজনৈতিক  সচিব আহমেদ প্যাটেল। পরে তাঁর  সঙ্গে  কথা  হয় কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর। এর পাশাপাশি টুইটও করেন তিনি।  তিনি পাশে  থাকার  বার্তা দিলেও প্রদেশ কংগ্রেস  তৃণমূলকে আক্রমণ করেই চলেছে। দলের সাংসদ এবং কয়েক মাস আগে পর্যন্ত  প্রদেশ সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসা অধীর চৌধুরি রবিবারের পর সোমবারও রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি পেশ করেন। অন্যদিকে দু'দশক বাদে আরও একবার  প্রদেশ সভাপতির দায়িত্ব পাওয়া সোমেন মিত্র  ঘটনা প্রসঙ্গে কলকাতার পুলিশ কমিশনারকেই নিশানা করেছনে।      

 

.