Read in English
This Article is From Mar 10, 2019

মুকুল রায়ের সঙ্গে বৈঠক, সব্যসাচী দত্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চলেছে তৃণমূল

তিনি সব্যসাচী দত্তের বিরুদ্ধে যে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছেন, তা একপ্রকার নিশ্চিত। যদিও, সব্যসাচী দত্ত ওই পৌরপিতাদের বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া

তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক সব্যসাচী দত্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে চলেছে তৃণমূল।

Highlights

  • সব্যসাচী দত্তের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে চান মমতা
  • এই তৃণমূল বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে জল্পনা চলছে
  • বিজেপির মুকুল রায় ও তৃণমূলের সব্যসাচী দত্ত দুজনের বলেছেন ওটা সৌজন্য বৈঠক
কলকাতা:

শুক্রবার মুকুল রায়ের সঙ্গে বৈঠকের জন্য তাঁর দলের এক বিধায়কের বিরুদ্ধে রাজ্যের উচ্চপদস্থ মন্ত্রী এবং কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার সন্ধেবেলা তৃণমূল বিধায়ক সব্যসাচী দত্তের বাসভবনে তাঁর সঙ্গে দেখা করে প্রায় দু'ঘন্টা ধরে বৈঠক করেন মুকুল রায়। যার ফলে জল্পনা শুরু হয়েছে যে লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগেই এই তৃণমূল বিধায়ক যোগ দিতে পারেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে।রবিবারই ফিরহাদ হাকিমকে সল্টলেক অঞ্চলের সমস্ত পৌরপিতাকে ডেকে জরুরি ভিত্তিতে একটি বৈঠকের আয়োজন করার নির্দেশ দেন মমতা।

তিনি সব্যসাচী দত্তের বিরুদ্ধে যে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছেন, তা একপ্রকার নিশ্চিত। যদিও, সব্যসাচী দত্ত ওই পৌরপিতাদের বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়।

“বিজেপি হল একটি সর্বভারতীয় দল। ওদের প্রচুর পয়সা আছে কিন্তু কোনও নেতা নেই। যৈ কারণে ওরা ভিক্ষার পাত্র হাতে নিয়ে সবার কাছে ঘুরে বেড়াচ্ছে, আর বলছে- তুমি কি আমাদের দলের প্রার্থী হবে? যদিও, সম্প্রতি যে বৈঠকটি হয়েছে, তাকে ব্যখ্তিগত বৈঠক বলেই মনে হচ্ছে। দেখা যাক,” বলেন ফিরহাদ হাকিম।

Advertisement

আরও পড়ুনঃ সব্যসাচী দত্তের বাড়িতে ২ ঘণ্টার বৈঠকে মুকুল রায়! দলবদলের সম্ভাবনা বিধাননগরের মেয়রের?

সব্যসাচী দত্তকে নিয়ে জল্পনা যখন শুরু হল, তার দু-একদিন আগে থেকেই কলকাতার প্রাক্তন মেয়র ও রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কয়েকটি রাজনৈতিক দলের কথা চলছে বলে শোনা যাচ্ছিল। বৈশাখীকে এই কথাও বলতে শোনা গিয়েছে যে, “হ্যা। আমরা অনেকের সঙ্গেই কথা বলছি। আমরা যা করব, একসঙ্গেই করব”।

Advertisement

অন্যদিকে, মুকুল রায় এবং সব্যসাচী দত্ত দুজনেই এই ‘বিতর্কিত' বৈঠকটির বিষয়ে একবাক্যে জানিয়েছেন একটি কথাই। তা হল- এই বৈঠকটি সম্পূর্ণ সৌজন্যমূলক। যদিও, তাঁরা দুজনেই এখন দুই ভিন্ন রাজনৈতিক দলের সদস্য। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তাই এই সময় তাঁদের এই বৈঠক নিয়ে যে জল্পনা শুরু হবে, তা একরকম স্বতঃসিদ্ধই ছিল।

রাজারহাট-নিউটাউন বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত বরাবরই ‘মুকুল-ঘনিষ্ঠ' হিসাবে পরিচিত ছিলেন।  

Advertisement