এনআরসি ফের বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ মমতার (ছবি প্রতীকী)
কলকাতা: এনআরসি নিয়ে সোমবার ফের বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সাফ জানালেন, এনআরসি বিজেপি যা করছে, তা আসলে নির্বাচনী গিমিক ছাড়া আর কিছুই নয়। তিনি সাধারণ মানুষকে এই ব্যাপারটি ‘মাথা না ঘামানোর' পরামর্শও দেন। “কেউ যদি তাঁর জন্মতারিখ দেখাতে না পারেন, তাহলেই তাঁকে এনআরসি'র নাম করে তাড়িয়ে দেওয়া হবে দেশ বা রাজ্য থেকে। এ কী ধরনের নিয়ম! বহু বয়স্ক মানুষের কাছে বার্থ সার্টিফিকেট নেই। তখন পরিস্থিতি অন্যরকম ছিল। পুরনো প্রজন্মের বহু মানুষই নিজেদের ঠিক জন্মতারিখটাও জানেন না। তাই বলে তাঁদের তাড়িয়ে দেওয়া হবে?”, রীতিমতো উষ্মাপ্রকাশ করে বলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
"বহু প্রমাণ লোপাট করে দিয়েছে রাজ্য সরকার", সারদা নিয়ে জানাল সিবিআই
রাজ্য সরকারের একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে তিনি বলেন, দু'বার নাগরিকত্বের প্রমাণ চেয়ে আসল নাগরিকদের ‘বিদেশি' বলে দেগে দেবেন না। আমরা সকলেই এই ভারতের নাগরিক। আমরা ভোট দিই। আমাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। আমরা এই মাটি থেকেই দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছি। এটা (এনআরসি) একটা নির্বাচনী গিমিক। এটাকে পাত্তা দেবেন না একদম। আমরা যতদিন বেঁচে আছি, এগুলো চলবে না।
তৃণমূলের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্য ঠাকুরনগরে বদলে গেল নরেন্দ্র মোদীর সভাস্থল
এছাড়া, এ দেশের মানুষের ‘ব্যক্তিগত' বলেও আর কিছু অবশিষ্ট রাখছে না কেন্দ্রীয় সরকার, বলে দাবি করেন তিনি। “আপনি ঘরে বসে আছেন, কথা বলছেন, ব্যক্তিগত কথা, অথচ বুঝতেই পারছেন না যে আপনার সব কথা স্টিং অপারেশনের মাধ্যমে রেকর্ড হয়ে যাচ্ছে! সাংবাদিক বা বিচারপতিদের কথাবার্তাও রেকর্ড করে নেওয়া হচ্ছে। জীবনটা মোটেই নিরাপদ নয়। সম্পত্তিও মোটেই নিরাপদে নেই। আগে আমরা জেনে এসেছি, আমাদের ব্যক্তিগত জীবন আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। আমাদের সম্পত্তি আমাদের অধিকার। কিন্তু, এখন আমরা ধীরে ধীরে আমাদের ন্যূনতন সাংবিধানিক অধিকারগুলোও খুইয়ে ফেলছি। এই দেশকে আমাদের বাঁচাতেই হবে”, উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
লোকসভা নির্বাচনে দেশের ১৪ আসনে প্রার্থী দেবে তৃণমূল
‘খেলাশ্রী' পুরস্কার দিতে মঞ্চে উঠে দেশের ক্রীড়াব্যক্তিত্বদের যোগ্য সম্মান না দেওয়ার জন্যও প্রধানমন্ত্রীকে একহাত নেন তিনি।
তাঁর কথায়, শুধু ‘খেলো ইন্ডিয়া' (কেন্দ্রের প্রকল্প) করলেই হবে না। আমাদের সারা বছর ধরেই দেশের ক্রীড়াবিদদের কথা মাথায় রাখতে হবে। তাঁদের খেলার জন্য কী কী প্রয়োজন তা জানতে হবে। কেবলমাত্র ভালো পারফরমেন্সের পর তাঁকে ডেকে এনে টাকা আর কয়েকটা মালা পরিয়ে পুরস্কার ধরিয়ে দিলাম, সেই মানসিকতা থাকলে চলবে না।