"প্রণয়নের আগে আইনটা (NPR) জানুন"; এনপিআর প্রসঙ্গে এমন আবেদন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
হাইলাইটস
- উত্তর-পূর্ব-সহ বিরোধী রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের আবেদন করেন তিনি
- বলেন, এনপিআর প্রণয়নের আগে আইনটা জানুন
- তাঁর দাবি, "এই এনপিআর অত্যান্ত বিপজ্জনক খেলা"
কলকাতা: "প্রণয়নের আগে আইনটা (NPR) জানুন," সোমবার এনপিআর প্রসঙ্গে এমনই আবেদন করলেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তর-পূর্ব আর অবিজেপি রাজ্যগুলির সরকারের কাছে এনপিআর প্রণয়ন প্রসঙ্গে বার্তা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, "চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আইনটা জানুন। এই এনপিআর একটা বিপজ্জনক খেলা। এটা সিএএ আর এনআরসি-কে (NRC) সঙ্গে করে নিয়ে আসবে। এই এনপিআর প্রত্যাহার করতে প্রস্তাব আনুন।" বার্তায় তিনি যোগ করেন, "ত্রিপুরা, আসাম-সহ সব উত্তর পূর্বের রাজ্য, এবং বিরোধীদের কাছে আমি এই আবেদন করছি। সব রাজ্যকে বলছি সিএএ'র (CAA) বিরোধিতায় প্রস্তাব পাস করান।" জানা গেছে, চলতি বছরের পয়লা এপ্রিল থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এনপিআর লাগুর সম্ভাবনা রয়েছে। বিরোধীদের দাবি, "এই এনপিআর, হাত ধরে সিএএ আর এনআরসি-কে নিয়ে আসবে।" ইতিমধ্যে একাধিক অবিজেপি রাজ্য, পশ্চিমবঙ্গ, কেরালা, পাঞ্জাব, এনপিআর-এর ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে।
এক কোটি বাংলাদেশী মুসলিমকে দেশে ফেরত পাঠাব, দাবি করলেন বিজেপি নেতা Dilip Ghosh
এদিকে এনপিআর-এর ভবিষ্যৎ চূড়ান্ত করতে ১৭ জানুয়ারি প্রতি রাজ্যের মুখ্যসচিবদের বৈঠকে ডেকেছিল কেন্দ্র। ৬টি রাজ্যের মুখ্যসচিব সেই বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন। অন্য আধিকারিকদের সেই বৈঠকে পাঠান হয়েছিল। যে তালিকায় পশ্চিমবঙ্গও আছে। ঠিক তার দিন তিনেক বাদে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমন আবেদন করলেন। গত সপ্তাহে দিল্লিতে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধির ডাকে এক বৈঠকে মিলিত হয়েছিল বিরোধী দলগুলো। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, যে সব রাজ্য এনআরসি আর সিএএ খারিজ করছে, তারাই এনপিআর-এর প্রণয়নের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেবে। ২০টি রাজনৈতিক দল সেই বৈঠকে অংশ নিয়েছিল।
সব রাজ্যকে CAA বাতিলের প্রস্তাব আনতে আর্জি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
যদিও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অন্যতম দুই প্রধান মুখ (পদের বিচারে) প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, দেশব্যাপী এনআরসি লাগুর কোনও পরিকল্পনা নেই। তবে তাঁদের এই দাবির বিরুদ্ধ মত শুনিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বিরোধীদের অভিযোগ, "এতে আরও বেড়েছে বিভ্রান্তি।"
"এই রাজ্যে এনআরসি লাগু করা হবেই," এমন দাবি শোনা গিয়েছে দিলীপ ঘোষের গলাতে। এমনকি, সেই প্রক্রিয়া পশ্চিমবঙ্গ থেকে চিহ্নিত করে ৫০ লাখ 'অবৈধ' বাংলাদেশিকে পড়শি দেশে পাঠাবে, এমন হুঙ্কারও দিয়েছেন বিজেপি সভাপতি।