This Article is From Dec 22, 2019

নিজের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উল্টো কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী: মুখ্যমন্ত্রী

রামলীলার জনসভায় রবিবার প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল সুপ্রিমো তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দাগেন

নিজের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উল্টো কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী: মুখ্যমন্ত্রী

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এ রাজ্যে এনআরসি কার্যকর করা হবে না (ফাইল)

নয়াদিল্লি:

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উল্টো কথা বলছেন। রবিবার এ ভাষাতেই টুইটারে সরব হলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  এদিন দিল্লির রামলীলা ময়দানের এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন; দেশব্যাপী এনআরসি লাগু হবে না। এই মন্তব্যকে নিশানা করে রবিবার #রিজেক্ট এনআরসি লিখে টুইট করেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। টুইটে আক্রমণের মাত্রা বাড়িয়ে তিনি লেখেন; "আমি প্রকাশ্যে যা বলেছি আর আপনি প্রকাশ্যে যা বলছেন, সেটি জনগণ বিচার করবে। প্রধানমন্ত্রী প্রকাশ্যে নিজের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের উল্টো কথা বলছেন  এবার দেখুন কে ভারতের মৌলিক ভাবনায় বিভেদ আনছে? জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে কে ঠিক, কে ভুল।'  

একই ট্যুইট করেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়নও।

এদিকে রামলীলার জনসভায় রবিবার প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল সুপ্রিমো তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দাগেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি আর সিএএ লাগু করতে দেবেন না। যদি সম্ভব হয় তাহলে উনি আইনজীবীর পরামর্শ নিক, যাঁরা আইন বিশারদ, তাঁদের সঙ্গে কথা বলুক।' এমনকী সাম্প্রতিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা 'রাষ্ট্রসংঘের তদারকিতে গণভোট' (UN Referendum) মন্তব্যের প্রসঙ্গ তুলেও তৃণমূল সুপ্রিমোর সমালোচনা করেছেন।  যদিও, দিন কয়েক আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, এ বছর অসমে যে এনআরসি লাগু করা হয়েছিল, সেটাই গোটা দেশে লাগু হবে। সেই প্রক্রিয়া সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে লাগু হয়েছিল। সেটাই গোটা দেশে লাগু হবে।

সিএএ আইনে রূপান্তরিত হওয়ার পর উত্তর-পূর্বে প্রথমে প্রতিবাদ শুরু হয়। সে রাজ্যগুলির যাঁরা আদিবাসী; নতুন আইনে তাঁদের অস্তিত্ব সংকট হতে পারে। এমনকী তাঁরা রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্বও হারাতে পারে। সেই সংশয় থেকে দীর্ঘ একসপ্তাহ অবরুদ্ধ ছিল অসম, মেঘালয় ও ত্রিপুরার মতো রাজ্যগুলো। পিছিয়ে ছিল না পশ্চিমবঙ্গও।

ট্রেনে হামলা, পথ অবরোধে রুদ্ধ হয়েছিল সে রাজ্য। এখনও পর্যন্ত গোটা দেশ থেকে হিংসার কারণে প্রায় ৩০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। কংগ্রেস ও অন্য বিরোধী দলগুলি কেন্দ্রের প্রধান শাসক বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলেছে। ধর্মের ভিত্তিতে দেশ ভাগের অভিযোগ আনা হয়েছে। সিএএ-র খসড়ায় বলা আছে; দেশের নাগরিকদের এই প্রথম নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে হবে। এই আইন সে সব সংখ্যালঘুদের সাহায্য করবে যাঁরা ধর্মীয় কারণে মুসলিম অধ্যুষিত পড়শি পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ২০১৫-র আগে শরণার্থী হয়ে এদেশে এসেছে। যদিও সমালোচকরা বলছে এই আইন ভারতের মৌলিক ধর্মনিরপক্ষে কাঠামোর পরিপন্থী।

.