সংসদের শীতকালীন অধিবেশনেই (winter session of Parliament) নাগরিকত্ত্ব সংশোধনী বিল (Citizenship Amendment Bill) পেশ করার কেন্দ্রের চেষ্টা নিয়ে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বললেন, “বাঙালি ও হিন্দুদের বের করার ফাঁদ” এই বিল, পাশাপাশি নাগরিকত্ত্ব সংশোধনী বিলের তীব্র বিরোধিতা করলেন তিনি। এনআরসি বা জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর তীব্র বিরোধিতা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী, পাশাপাশি এরাজ্যে তিনি তা হতে দেবেন না বলে জানিয়েও দিয়েছেন। সোমবার শুরু হয়েছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন, এবং এবারের অধিবেশনে নাগরিকত্ত্ব সংশোধনী বিল পাশ পেশ করতেচায় সরকার, যে বিলে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তানের হিন্দু, জৈন, খ্রিশ্চান, শিখ, পার্সি এবং বৌদ্ধদের কোনও নথি না থাকলেও, সাতবছর ভারতে থাকলেই তাঁদের নাগরিকত্ত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
গ্রেফতার হওয়া বিদেশিদের জন্যে আটক শিবির তৈরি করছে রাজ্য সরকার
বিজেপির বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এবারের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ১৮ আসনে জয়কে “সবচেয়ে বড় পাপ” বলে মন্তব্য করেন, বলেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করে এবং ভোট কিনে”, তারা “বাংলা দখলের দিবাস্বপ্ন” দেখছে।
দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়েও এদিন কড়া বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, পাশাপাশি তিনি এদিন বলেন, যারা বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে চলেছেন, তাঁরা দল ছাড়তে পারেন, এবং তিনি “বিশ্বাসঘাতকদের থেকে দলকে পরিষ্কার” করতে চান।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা বাংলায় এনআরসি হতে দেব না। কোনও নাগরিকই তাঁদের নাগরিকত্ত্ব হারাবেন না বা তাঁদের ডিটেনশন ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হবে না, যতদিন বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় রয়েছে। এখন কেন্দ্রীয় সরকার নাগরিকত্ত্ব সংশোধনী বিল পাশ করানোর চেষ্টা করছে। দেশের বৈধ নাগরিকত্ত্ব থেকে বাঙালি ও হিন্দুদের বের করতে এবং নিজের দেশেই তাঁদের উদ্বাস্তু বানাতে, এনআরসির মতোই এটাও একটা ফাঁদ। আমরা পুরোপুরিভাবেই এর বিরুদ্ধে”। নাগরিকত্ত্ব বিলে তাঁদের অবস্থান স্পষ্ট করে তৃণমূলনেত্রী বলেন, “যদি এটা পাশ হয়, ছবছর তারা আপনাদের সঙ্গে বিদেশীর মতো আচরণ করবে। সেই ৬ বছর এই ধরণের মানুষদের সঙ্গে আপনি কী করবেন? তারপরে, কী হবে? কেউ কি জানে”?
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)