নাগরিকত্ব আইন (CAA) নিয়ে রাজ্যজুড়ে চলতে থাকা বিক্ষোভ-প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar) ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) মধ্যে নতুন করে সংঘাত তৈরি হল। মুখ্যমন্ত্রী টুইট করে সোমবারের ‘‘মহামিছিলের'' কথা ঘোষণা করার পরই রাজ্যপাল টুইট করে জানিয়ে দেন তিনি ‘‘অত্যন্ত বিরক্ত'' এই ‘‘অসাংবিধানিক'' কাজে। তিনি টুইট করে জানান, ‘‘আমি অত্যন্ত বিরক্ত মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর মন্ত্রীদের ক্যা-র বিরুদ্ধে মিছিল করার সিদ্ধান্তে। এটা অসাংবিধানিক। আমি মুখ্যমন্ত্রীকে এই অসাংবিধানিক কাজ থেকে বিরত থাকতে বলছি এই সঙ্কট মুহূর্তে এবং এই মারাত্মক পরিস্থিতিকে শুধরানোর জন্য বলছি।''
এর আগে মুখ্যমন্ত্রী জনগণের উদ্দেশে আর্জি জানান ‘‘অসাংবিধানিক'' নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিলের বিরুদ্ধে মিছিলে যোগ দেওয়ার জন্য। তিনি টুইট করে জানান, ‘‘এক মহামিছিল আজ কলকাতায় হতে চলেছে অসাংবিধানিক ক্যাব এবং এনআরসির বিরুদ্ধে। বাবাসাহেব আম্বেদকরের মূর্তির কাছে রেড রোডে এই মিছিল শুরু হবে বেলা একটায়। শেষ হবে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি গিয়ে। আসুন, আমরা সবাই, সমাজের সব স্তর থেকে যোগ দিন শান্তিপূর্ণ ভাবে আইন মেনে জনগণের এই আন্দোলনে।''
রাজ্যপাল মুখ্য সচিব ও পুলিশ প্রধানকে এই পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করার জন্য দেখা করতে বলেছেন। রবিবার রাজ্যের হিংসাত্মক পরিস্থিতি দেখে সরকারের তরফে বেশ কয়েকটি জেলায় ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়।
রাজ্যপাল রাজ্যের এই পরিস্থিতিকে সংবিধানের মূল্যবোধের সঙ্গে ‘‘মারাত্মক আপস'' বলে বর্ণনা করেন।
সোমবার সকালে মুখ্য সচিব ও পুলিশ প্রধানকে রাজ ভবনে দেখা করতে বলেন রাজ্যপাল।
এই নতুন আইনে ২০১৫ সালের আগে পাকিস্তান, আফনাগিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আগত অমুসলিম নাগরিকদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
রবিবারও তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে মিছিল বের করা হয় নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন বা ক্যা-এর বিরুদ্ধে।
এদিকে দিল্লির জামিলা মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও উত্তরপ্রদেশের আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়েও নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিংসাত্মক চেহারা নেয় রবিবারে। বহু পড়ুয়া ও পুলিশ এই সংঘর্ষে আহত হয়েছেন।