Read in English
This Article is From Mar 04, 2020

রাজ্যে “বিজেপি ছিঃ ছিঃ” প্রচারাভিযান শুরু করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস

এখনও পর্যন্ত ভারতে ২৮ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের জীবানু মিলেছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by (with inputs from PTI)

বুধবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুরে দলীয় কর্মিসভায় যোগ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

বুনিয়াদপুর:

শুক্রবার, দিল্লিতে “গণহত্যার” ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্য জুড়ে “বিজেপি ছিঃ ছিঃ” প্রচারাভিযান চালাবে তৃণমূল কংগ্রেস  (Trinamool Congress) । বুধবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুরে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়  (Mamata Banerjee) জানান, রাজ্যের সমস্ত ব্লকে এই প্রচারাভিযান চালাবে তাঁর দল। এদিন দক্ষিণ দিনাজপুরের সভায় তিনি বলেন,  “শুক্রবার রাজ্যের সমস্ত ব্লকে বিজেপি ছিঃ ছিঃ প্রচারাভিযান চলবে দিল্লিতে গণহত্যা, যেটি পরে ব্যাপক অশান্তির রূপ নেয়, তার প্রতিবাদে”। দিল্লিতে হিংসা নিয়ে বিজেপিকে তোপ দেগে তৃণমূল সুপ্রিমো অভিযোগ করেন, নিরিহ মানুষদের হত্যা করতে বাইরে থেকে লোক আনা হয়েছিল। তিনি বলেন, “গণহত্যার জন্য বিজেপি দায়ি। শুক্রবার, আমরা বলব, ‘বিজেপির উত্তর, দিল্লিতে কোথায় গণহত্যা হয়েছে। বিজেপি ছিঃ ছিঃ”।

এর আগে নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের প্রতিবাদ জানিয়েও ছিঃ ছিঃ স্লোগান তুলে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের দেশে এই ধরণের মানুষের কোনও জায়গা নেই”।

দিল্লিতে সাম্প্রদায়িক হিংসা (Delhi Riots) থেকে নজর ঘোরাতেই করোনা ভাইরাস (Coronavirus)
নিয়ে আতঙ্ক তৈরির চেষ্টা করছে “কয়েকজন মানুষ এবং চ্যানেল”, বুধবার এমন অভিযোগও করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তিনি বলেন, দিল্লিতে “সুখী এবং সুস্থ” মানুষ মারা গিয়েছেন অশান্তির জন্য, ভাইরাসের জন্য নয়। দক্ষিণ দিনাজপুরে সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আজ কিছু মানুষ করোনা বলে চিৎকার করছে, খুব বেশি। দিল্লি হিংসাকে চাপা দিতে কিছু টেলিভিশন চ্যানেলও এই নিয়ে উত্তেজনা তৈরি করছে। যখন এটা হবে, তখনই এটা করো। আমরা চাইনা, এই রোগ ছড়াক। তবে আতঙ্ক তৈরি করবেন না”।

Advertisement

এখনও পর্যন্ত ভারতে ২৮ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের জীবানু মিলেছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন। তিনি বলেন, “যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁরা দিল্লি হিংসায়, করোনা ভাইরাসের কারণে নয়। যদি তাঁরা ভাইরাসের আক্রান্ত হয়ে মারা যেতেন, তাহলে আমরা অন্তত জানতে পারতাম, প্রাণঘাতি রোগে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। অথচ সুখি এবং সুস্থ মানুষ মারা গিয়েছেন”।

  .  

এদিনের দলীয় কর্মিসভায় বিজেপি বা কেন্দ্রীয় সরকারের নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “তাদের অহংকারটা ভাবুন। তারা বলছে গুলি করো...আমি তাদের জানাতে চাই, দিল্লি আর বাংলা এক নয়”। তৃণমূল সুপ্রিমোর দাবি, সংঘর্ষের পর দিল্লিতে বহু মানুষকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না এবং নালা থেকে দেহ উদ্ধার হচ্ছে। তাঁর কথায়, “দিল্লির পরিস্থিতি করুণ। মৃতদেহের স্তুপ রয়েছে। বহু মানুষ ঘরছাড়া। নালা থেকে দেহ উদ্ধার হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ৭০০ মানুষ ঘরছাড়া”।

বাংলাদেশের যে সমস্ত মানুষ ভারতে রয়েছেন, তাঁদের নিয়ে তাঁর মন্তব্য সংবাদমাধ্যম ভুল ব্যখা করেছে বলেও এদিন দাবি করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনি বলেন,  “আমি কখনই বলিনি, যাঁরা বাংলাদেশ থেকে এদেশে এসেছেন, তাঁরা সবাই এখানকার নাগরিক। দেশভাগের সময়, পাকিস্তান থেকে অনেকেই আমাদের দেশের পঞ্জাব, গুজরাট, দিল্লি, বাংলায় এসেছেন, বাংলাদেশ বা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান থেকেও অনেকে এসেছেন”।

Advertisement

দিল্লি হিংসার ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “শরণার্থী আসার পর, নেহেরু-লিয়াকৎ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, সেখানে পাকিস্তান থেকে ভারতে আসা লোকজনদের নিয়ে চু্ক্তি হয়। আবার, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ইন্দিরা গান্ধি এবং মুজিবুর রহমানের মধ্যে চু্ক্তি হয়, যাতে বাংলাদেশ থেকে এদেশে আসা শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়। আমি তাঁদের কথা বলেছিলাম”।

Advertisement

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, তিনি এদেশের নাগরিকদের কথা বলেছেন, এবং কেন তাঁদের, বিজেপি সরকারকে নাগরিককত্বের প্রমাণ্য নথি দেখাতে হবে, তা নিয়ে বিষ্ময় প্রকাশ করেন তিনি।

বিজেপির বিরুদ্ধে দলিতদের ওপর অত্যাচারেরও অভিযোগ তোলেন তৃণমূলনেত্রী, এবং দাবি করেন, বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজ্যের কংগ্রেস ও সিপিআইএমের সঙ্গে আঁতাত রয়েছে গেরুয়া শিবিরের।

Advertisement

(আইএএনএস এর তথ্য সংযুক্ত হয়েছে)



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
Advertisement