This Article is From Jul 24, 2019

আমি দীর্ঘদিন ধরেই এটা বলে আসছি, বিশিষ্টদের চিঠি নিয়ে বললেন মুখ্যমন্ত্রী

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি সবধর্মকেই ভালবাসি”। তিনি আরও বলেন, সব স্লোগানকেই তিনি সম্মান করেন, সেটা ধর্মীয় হোক বা না হোক।

আমি দীর্ঘদিন ধরেই এটা বলে আসছি, বিশিষ্টদের চিঠি নিয়ে বললেন মুখ্যমন্ত্রী

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তাঁরা যা বলেছেন, তা “বেশ সঠিক”, তিনি দীর্ঘদিন ধরেই এটা বলে আসছেন। (ফাইল)

কলকাতা:

ধর্মের ভিত্তিতে ঘৃণ্য-অপরাধ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা। সেই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার তিনি বলেন, তাঁরা যা বলেছেন, তা “বেশ সঠিক”, পাশাপাশি জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরেই এটা বলে আসছেন। তিনি আরও বলেন,  “যখনই দেশে সমস্যা তৈরি হয়েছে, যখনই  সামাজিক আলোকপাতের প্রয়োজন হয়েছে, তখনই এই বিশিষ্টরা এগিয়ে এসেছেন”। তৃণমূলনেত্রী বলেন, “আমি অনেক সময় দেখেছি, যখন অনেক কথা বলা যায় না, একটা গান সেকথা বলতে পারে”। সাংবাদিকদের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি তাঁদের সম্মান করি। আমি মনে করি, তাঁরা যা বলেছেন, বেশ সঠিক। আজ তাঁরা যে কথা বলেছেন, আমি সেটা দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছি”।

জয় শ্রী রাম বিতর্কে মোদিকে চিঠি লিখলেন অপর্ণা সেন, রামচন্দ্র গুহরা

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি সবধর্মকেই ভালবাসি”। তিনি আরও বলেন, সব স্লোগানকেই তিনি সম্মান করেন, সেটা ধর্মীয় হোক বা না হোক। তাঁর কথায়, “কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, ধর্ম সবার আলাদা, তবে উৎসব সবার”। একে অপরের ধর্মকে সম্মান করার ওপরেও জোর দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “প্রত্যেকের ধর্মকেই সম্মান করা উচিত। অপরের ধর্মকে সবার সম্মান জানানো উচিত”।

প্রধানমন্ত্রীকে লেখা বিশিষ্টদের চিঠিতে বলা হয়েছে, “দুঃখজনকভাবে জয় শ্রীরাম এখন উত্তেজনামূলক যুদ্ধের হুঙ্কারে পরিণত হয়েছে, তারফলে আইনশৃঙ্খলার সমস্যা হচ্ছে এবং রাম নাম নিয়ে অনেক জায়গায় গণপিটুনির ঘটনাও ঘটছে। এটা দুঃখজনক যে, ধর্মের নাম নিয়ে হিংসার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে! এটা মধ্যযুগ নয়! রামচন্দ্রের নাম ভারতের বেশীরভাগ মানুষের কাছে পবিত্র। দেশের সর্বোচ্চ শাসক হিসেবে আপনার উচিত, রামনাম ব্যবহার করে এই ধরণের ঘটনা বন্ধ করা”।

বিরোধীদের অনুগত হয়ে কাজ করছে “রাষ্ট্রবিরোধী” বুদ্ধিজীবীরা, বললেন দিলীপ ঘোষ

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, “শাসকদলের সমালোচনা করা মানেই রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নয়। যেখানেই ক্ষমতায় থাকুক না কেন, শাসকদল কখনই দেশের সমার্থক হতে পারে না। এটা শুধুমাত্র আমাদের দেশের একটা রাজনৈতিক দল সম্পর্কে। ফলে সরকার বিরোধিতাকে কখনও রাষ্ট্রবিরোধিতার সঙ্গে সমান করা যায় না। যে পরিবেশে সমালোচকদের মুখ বন্ধ করা হয় না, সেখানেই একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র গড়ে উঠতে পারে...”।

প্রধানমন্ত্রীকে বিদ্দ্বজনদের লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, “আমাদের আশা, আমাদের এই প্রস্তাব –আমাদের দেশের ভবিষ্যত সম্পর্কে, ভারতীয়রা উদ্বিগ্ন, আশঙ্কিত---এই ভাবেই নেওয়া হবে”।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.