এক সম্প্রদায়কে অপরের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলার কোনওরকম চেষ্টা সম্পর্কে সতর্ক করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) । পাশাপাশি বললেন, মানুষের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাঁধানোর চেষ্টা সফল হবে না। সবরকম পরিস্থিতিতে নিজেদের ডিজিটাল রেশনকার্ড সঙ্গে রাখার জন্য সাধারণ মানুষকে আহ্বান জানালেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “পাহাড়, উত্তরবঙ্গে রাজবংশীর সঙ্গে কামতাপুরীর, উত্তরবঙ্গে শিখ, মুসলিম, হিন্দু, খ্রিশ্চান এবং যে সমস্ত বাঙালি বরাবর এখানে রয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে, যাঁরা দেশভাগের পর এদেশে এসেছেন, তাঁদের রেষারেষি লাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে”। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান বলেন, “যারা এই ধরণের ষড়যন্ত্র করে, তারা সফল হবে না”।
নাগরিকত্ত্ব সংশোধনী বিলের বিরোধিতা মমতার, বাঙালি ও হিন্দুদের বের করার ফাঁদ, বললেন মুখ্যমন্ত্রী
মঙ্গলবার দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে প্রশাসনিক সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেখানেই তিনি বলেন, রাজ্যে নাগরিকত্ত্ব সংশোধনী বিল( (Citizenship Amendment Bill) বা জাতীয় নাগরিক পঞ্জী (NRC) কার্যকর হবে না। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “আপনার যদি নাগরিকত্ত্বের প্রমাণ থাকে, রেশনকার্ড, ভোটার আইকার্ডের মতো নথি থাকে, তাহলে যারা সাম্প্রদায়িক বিভাজন, সম্প্রদায়ের মধ্যে রেষারেষি লাগাতে চাইছে, তাদের কথায় বিভ্রান্ত হবেন না”।
স্বাস্থ্যসাথী, জল ধরো, জল ভরোর মতো বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “রাজ্যের সমস্ত প্রকল্প-সমাজকল্যাণ, পরিকাঠামো, পশুপালন—সময়ে শেষ করতে হবে”। যদি চাহিদার থেকে পণ্য বেশী হয়, সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় গুদাম রয়েছে, তা দেখার জন্য আধিকারিকদের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “অন্য রাজ্যে বেশী সব্জি রফতানির পরিবর্তে, বিশেষ করে পেঁয়াজ, জেলা প্রশাসনকে অন্য রাজ্যে রফতানি করতে হবে”।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)