This Article is From Aug 31, 2019

সর্বভারতীয় পরীক্ষা পদ্ধতির ফলেই রাজ্যে ডাক্তারের ঘাটতি: মুখ্যমন্ত্রী মমতা

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষার কেন্দ্রীয় পদ্ধতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ঘাটতি মেটাতে ‘domicile quota’-র কথা বলেন তিনি।

সর্বভারতীয় পরীক্ষা পদ্ধতির ফলেই রাজ্যে ডাক্তারের ঘাটতি: মুখ্যমন্ত্রী মমতা

চিকিৎসকরা গ্রামে যেতে রাজি না হওয়ায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছ রাজ্য সরকারকে, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।

কলকাতা:

ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষার কেন্দ্রীয় পদ্ধতি (All-India MBBS Selection Procedure) নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Chief Minister Mamata Banerjee)। কেন্দ্রীয় পদ্ধতির জেরে রাজ্যে চিকিৎসক ঘাটতি মেটানো যাচ্ছে না বলে বিধানসভায় জানান মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য আইনসভায় এক প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘ডাক্তারি পাস করার পর অধিকাংশই গ্রামে গিয়ে চিকিৎসা করতে রাজি হচ্ছেন না। ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে। কিন্তু, এরাজ্য থেকেই তারা মেডিক্যাল পড়াশোনা করছেন।' তাঁর সংযোজন, ‘আমরা বেশ ডাক্তার নিয়োগ করতে রাজি হলেও চিকিৎসক নেই। আগের পদ্ধতিতে রাজ্য কোটায় পর্যাপ্ত সংখ্যায় চিকিৎসক মিলতো। কিন্তু, সর্বভারতীয়  MBBS পরীক্ষা পদ্ধতির ফলে তিন বছর কাজ করেই ভালো ভালো চিকিৎসকরা রাজ্য ছেড়ে চলে যাচ্ছেন।'

 পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় পাস হল গণপিটুনি প্রতিরোধ বিল

এর আগেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষার কেন্দ্রীয় পদ্ধতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। রাজ্যে ডাক্তার ঘাটতি মেটাতে ‘domicile quota' প্রয়োগের কথা বলেন তিনি। সমস্যা সমাধানে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপের আর্জি জানান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়ে দেন, এর জন্য রাজ্যে মেডিক্যালের আসন বৃদ্ধি করতে রাজি রাজ্য সরকার।

এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, রাজ্যের ৮২০টি আসনে মেডিক্যাল অফিসার নিয়োগ (General Duty Medical Officers) করা হবে। তবে, মাত্র ১০৫ জন এতে সাড়া দিয়েছেন। এদের মধ্যে আবার ৪১ জন গ্রামে গিয়ে কাজে রাজি নন। গত বছর থেকে চালু হওয়া নিয়মের জেরেই এই বেহাল অবস্থা বলে মনে করছে রাজ্য। ডাক্তারি পড়ার ক্ষেত্রেও রাজ্যবাসী বঞ্চিত হচ্ছেন। 

Didi ke Bolo: প্রথম মাসে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে "দিদিকে বলো"

তৃণমূল শাসনে আসার পর বাংলায় মেডিক্যাল সিট (MBBS Seats) বাড়ানো হয়েছে। ২০১১ পর্যন্ত সংখ্যাটা ছিল ১,৩৫৫। গত আট বছরে তা বেড়ে হয়েছে ৩.৬৫০টি। বিধানসভায় বলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।

.