সিবিএসই'র সংশোধিত সিলেবাসের সমালোচনায় সরব মুখ্যমন্ত্রী।
কলকাতা: সিবিএসই'র সংশোধিত সিলেবাস (CBSE syllabus) থেকে বাদ গিয়েছে একাধিক প্রসঙ্গ। গণতান্ত্রিক অধিকার, প্রাদেশিকতা এবং ধর্মনিরপক্ষেতার মতো প্রসঙ্গ বাদ গিয়েছে। নবম-দ্বাদশ শ্রেণীর অর্থনীতি আর রাষ্ট্রবিজ্ঞানের মতো বিষয়ে এই সংশোধনী আনা হয়েছে। আর সংশোধিত এই সিলেবাস দেখে হতবাক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ! তিনি বলেন, "এই পদক্ষেপের ঘোর বিরোধিতা করছি। পাঠ্যসূচির ভার লাঘবের স্বার্থে নাগরিকত্ব, প্রাদেশিকতা, ধর্মনিরপক্ষেতার মতো প্রসঙ্গগুলো বাদ দিয়েছে।" তিনি টুইটে (Mamata Banerjee tweeted)বলেছেন, "আমরা এর কড়া নিন্দা করছি। আর মানবসম্পদের উন্নয়ন মন্ত্রককে আবেদন করছি এই ধরনের সংবেদনশীল প্রসঙ্গগুলোকে পাঠ্যসূচির অংশ করতে।"
করোনা ভাইরাস সংকটের কারণে কাটছাঁট হচ্ছে সিলেবাস। পড়ুয়াদের উপর চাপ কমাতে সিবিএসই-র জাতীয় শিক্ষা বোর্ডের পাঠ্যক্রম থেকে তাই বাদ দেওয়া হল গণতান্ত্রিক অধিকার, ভারতে খাদ্য সুরক্ষা, ফেডারেলিজম, নাগরিকত্ব এবং ধর্ম নিরপেক্ষতার মতো মূল অধ্যায়গুলি। কেন্দ্রীয় মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড (সিবিএসই) মঙ্গলবার ঘোষণা করেছে যে বিশ্ব করোনা ভাইরাস মহামারী নিয়ে লড়ছে, এই “অভূতপূর্ব পরিস্থিতি”র কারণে ২০২০-২১ এর পাঠ্যক্রম এক তৃতীয়াংশ হ্রাস করা হবে। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির জন্য অর্থনীতি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পাঠ্যক্রম সংশোধন করেছে বোর্ড।
একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পাঠ্যক্রম থেকে সম্পূর্ণ বাদ দিয়ে দেওয়া অধ্যায়গুলিতে ফেডারেলিজম, নাগরিকত্ব, জাতীয়তাবাদ এবং ধর্মনিরপেক্ষতাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
“স্থানীয় প্রশাসন” অধ্যায়টি থেকে কেবল দুটি অংশ মুছে ফেলা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে “আমাদের স্থানীয় প্রশাসন কেন দরকার?” এবং “ভারতে স্থানীয় প্রশাসনের বৃদ্ধি”।
দ্বাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পাঠ্যক্রম থেকে বোর্ড “সমসাময়িক বিশ্ব সুরক্ষা”, “পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সম্পদ”, “ভারতে সামাজিক এবং নতুন সামাজিক আন্দোলন” এবং “আঞ্চলিক সম্ভাবনা” বিষয়গুলি একেবারেই সরিয়ে দিয়েছে।
“পরিকল্পিত উন্নয়ন” অধ্যায় থেকে, “ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রকৃতি” এবং “পরিকল্পনা কমিশন ও পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা”র অংশগুলি বাদ দেওয়া হয়েছে।
“প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক: পাকিস্তান, বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা এবং মায়ানমার” অধ্যায়টি ভারতের বৈদেশিক নীতি বিষয়ক পঠনপাঠন থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
(PTI থেকে সংগৃহীত)