This Article is From Nov 07, 2019

মিথ্যে বলার জন্য ক্ষমা চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: বিজয় রূপানি

জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার প্রধান পত্রের ভাষা বিতর্কে বৃহস্পতিবার গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি আক্রমণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by (with inputs from ANI)

জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার ভাষা হিসেবে গুজরাতির অন্তর্ভুক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার (JEE) প্রধানপত্রের ভাষা হিসেবে হিন্দি, ইংরেজির পাশাপাশি গুজরাতির অন্তর্ভুক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বৃহস্পতিবার গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি (Vijay Rupani) আক্রমণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি টুইট করে মমতার উদ্দেশে ল‌িখলেন, ‘‘প্রিয় বিভাজক দিদি, আপনার রাজ্যের মানুষ উন্নয়ন চায়। এই ধরনের বিভাজক স্টান্ট চায় না। এবার যখন সত্যিটা প্রকাশিত হয়েছে আপনার উচিত মিথ্যে বলার জন্য ক্ষমা চাওয়া।'' এদিন মুখ্যমন্ত্রী টুইট করে প্রশ্ন তোলেন, কেন জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা হিন্দি, ইংরেজি ও গুজরাতি ভাষাতেই কেবল নেওয়া হয়। ওই পরীক্ষায় বাংলা ভাষার প্রশ্নপত্রের দাবি জানান তিনি।

তিনি তাঁর টুইটে লেখেন, ‘‘ভারত আমাদের দেশ। বহু ধর্ম, সংস্কৃতি, ভাষা, সম্প্রদায়ের ঘর এটি। জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা বহুদিন ধরেই ইংরেজি ও হিন্দি ভাষাতে হচ্ছে। আশ্চর্যজনক ভাবে এবার গুজরাতি ভাষাকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই ধরনের পদক্ষেপ মোটেই প্রশংসনীয় নয়।''

এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবির উত্তরে এক বিবৃতি দেয় ‘ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি' বা এনটিএ। তারা জানায়, হিন্দি ও ইংরেজির পর কেন গুজরাতিকে অন্তর্ভুক্ত করা হল। তাদের বক্তব্য হল, গুজরাতই একমাত্র রাজ্য, যারা তাদের ভাষাকে জয়েন্ট এন্ট্রান্সের অন্তর্ভুক্ত করার আবেদন করেছে।

Advertisement

২০১৪ সালে মহারাষ্ট্রও তাদের রাজ্যে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা আয়োজনের আবেদন করেছিল। এবং মারাঠি ও উর্দু ভাষাকে সেই পরীক্ষায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্যও আবেদন করেছিল‌ তারা। পরে ২০১৬ সালে তাদের রাজ্যের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তির জন্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত তুলে নেয়। তারপর থেকে মারাঠি ও উর্দু ভাষাকে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার ভাষা হিসেবে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়।

Advertisement