This Article is From Feb 04, 2019

মেট্রো চ্যানেলে ধর্নায় বসলেন মমতা, রাজীব কুমার চলে এলেন ধর্না মঞ্চে

ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে ধর্নায় বসলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, এই ধর্না আসলে সত্যাগ্রহ।

আমার পুলিশ অফিসারকে রক্ষার দায়িত্ব আমার, বলেন মমতা।

কলকাতা:

চিটফান্ড কেলেঙ্কারীতে তাঁর নাম জড়ানোয় সিবিআই আজ কলকাতা পুলিশের কমিশনার রাজীব কুমারের বাসভবনে আচমকা হানা দেয় সন্ধেবেলা। তাদের ভিতরে ঢুকতে দেয়নি রক্ষীরা। ঘটনাস্থলে চলে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এই ঘটনার প্রতিবাদে ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে ধর্নায় বসলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, এই ধর্না আসলে সত্যাগ্রহ।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বিজেপির জাতীয় সভাপতি অমিত শাহ এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালকে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি। তাঁর কথায়, কত বড় সাহস ওদের! ওরা পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে গিয়ে হানা দিচ্ছে!

তিনি আরও বলেন, ক্যাবিনেট মিটিং করব এই মেট্রো চ্যানেলেই বসে। সিবিআই সিক্রেট অপারেশনে এসেছিল। রাজনৈতিকভাবে লড়াই করতে পারছে না বিজেপি। তাই এই নোংরামো করে বেড়াচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত দু'বছর ধরেই চিটফান্ড কেলেঙ্কারীর তদন্তের জন্য রাজীব কুমারকে তলব করে যাচ্ছিল সিবিআই। তিনি একবারও হাজিরা দেননি। সূত্রের খবর, একাধিকবার সিবিআই-এর নোটিস অমান্যের জন্য তাঁকে গ্রেফতারও করা হতে পারে।

এর আগে রাজীব কুমারের পাশে দাঁড়িয়ে মমতা বলেন, কলকাতা পুলিশের বর্তমান কমিশনার বিশ্বের সেরাদের মধ্যে একজন। তাঁর সততা ও সাহসিকতা প্রশংসাতীত। উনি ২৪ ঘন্টা কাজ করে যান। মাত্র একদিনের জন্য ছুটি নিয়েছিলেন। তাতেও এত প্রশ্ন! মিথ্যে ছড়ানোর একটা লিমিট থাকে! কিন্তু মিথ্যেটা চিরকালই মিথ্যেই থেকে যায়! তা সত্যি হয় না।

বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় টুইট করে বলেন, অবিলম্বে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা উচিত বাংলায়। এই দুর্নীতিগ্রস্থ মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যটাকে তিলে তিলে শেষ করে দিয়েছেন। এখন সিবিআই-এর কোপ পড়ায় নিজের দুর্নীতির সঙ্গীদের বাঁচাতে উঠে পড়ে লেগেছেন। বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বলেন, সিবিআই-এর কাজে বাধা দিয়েছে রাজ্য পুলিশ। পুলিশ কমিশনারের বাড়িতেই ঢুকতে দেয়নি সিবিআই কর্তাদের। এর থেকে লজ্জাজনক ব্যাপার আর কিছু হয় না। স্বাধীনতার পর আমাদের দেশ এমন লজ্জার সাক্ষী হল এই প্রথমবার। এই সরকারের ক্ষমতায় থাকার আর কোনও অধিকার নেই। গণতন্ত্রের কোনও অস্তিত্বই নেই এই বাংলায়। ওদের রূপটা সবার কাছেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে এখন।

.