রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তরুণদের উদ্দেশে আর্জি জানালেন বাড়তে বেকারত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলতে।
গত ৪৫ বছরের মধ্যে দেশের বেকারত্বের হার সবচেয়ে বেশি এবছর। রবিবার এই নিয়ে কেন্দ্রকে একহাত নেওয়ার পরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) তরুণদের উদ্দেশে আর্জি জানালেন বাড়তে বেকারত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলতে। আন্তর্জাতিক যুব দিবসে (International Youth Day) এভাবেই যুব সম্প্রদায়ের প্রতি তাঁর সমর্থন জানালেন মমতা। তিনি টুইট করে জানান, ‘‘আজ আন্তর্জাতিক যুব দিবস। বাংলায় আমরা যুব দিবস পালন করি ১২ জানুয়ারি স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে। আমি আবেদন করছি যুব, পড়ুয়া ও নতুন প্রজন্মের কাছে: শক্ত হও ও উত্তর চাও। বেকারত্বের সমস্যার কোনও উত্তর নেই।'' কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য অনুযায়ী, আর্থিক বৃদ্ধির হারে দেশের মধ্যে শীর্ষস্থানে পশ্চিমবঙ্গ। সেপ্রসঙ্গ তুলে মমতা জানান, ‘‘আমাদের রাজ্য বেকারত্বের পরিমাণ ৪৫ শতাংশ কমিয়ে এনেছে। দেশের মধ্যে আর্থিক বৃদ্ধির হারে সেরা পশ্চিমবঙ্গ। আমার সমর্থন সব সময়ই তরুণ, পড়ুয়া ও নতুন প্রজন্মের দিকে। তোমরা যেন নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যেতে পারো।''
তথ্য অনুসারে, ২০১৮-১৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের আর্থিক বৃদ্ধির হার ১২.৫৮ শতাংশ। এই সময়সীমায় বেকারত্বের পরিমাণ ৬.১ শতাংশ।
‘‘তৃণমূল ভয় পাচ্ছে'': পুজো কমিটিকে আয়করের নোটিশ প্রসঙ্গে মমতাকে আক্রমণ বিজেপির
রবিবার ফেসবুকে মমতা লেখেন, ‘‘আমাদের এই কৃতিত্ব এক উজ্জ্বল ব্যতিক্রম যেখানে দেশ গভীর মন্দা এবং সম্পূর্ণ নীতিগত ভাবে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে গিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের কারণে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সামগ্রিক বৃদ্ধির হার কমে গিয়েছে এবং গত ৪৫ ৪৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বেকারত্ব দেখা গিয়েছে।''
রবিবার রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র জানিয়ে দেন, ‘‘আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, ভারত সরকারের পরিসংখ্যান ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন মন্ত্রকের সদ্য প্রকাশিত রাজ্যগুলির ২০১৮-১৯ সালের আর্থিক বৃদ্ধির তালিকা অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গের বৃদ্ধি দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ, ১২.৫৮ শতাংশ।''
কাটমানি থেকে দুর্নীতি, মানুষের প্রশ্নে 'কঠিন সময়' তৃণমূল নেতৃত্বের
তালিকায় বাংলার পরেই রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ। তাদের আর্থিক বৃদ্ধির হার ১১.০২ শতাংশ। এরপর বিহার ১০.৫৩ শতাংশ এবং তেলেঙ্গানা ১০.৫ রয়েছে খুব কাছাকাছি।
তালিকায় সবথেকে নীচে রয়েছে গোয়া। তাদের আর্থিক বৃদ্ধির হার মাত্র ০.৪৭ শতাংশ।
অমিত মিত্র আরও বলেন, ‘‘আমাদের হাতেই ব্যাটনটা রয়েছে এবং সামনের দিকে এগিয়ে চলেছি যেখানে দেশ চলেছে গভীর মন্দার মধ্যে দিয়ে।''
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)