বৃহস্পতিবার তাঁর দল বিজেপির উদ্দেশে প্রবীণ নেতা লালকৃষ্ণ আদবানি নিজের ব্লগে যা লিখেছেন, তাকে স্বাগত জানালেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, আদবানি আজ নিজের ব্লগে লেখেন যে, বিরোধীদের সঙ্গে মতবিরোধ মানেই তাঁদের গায়ে ‘দেশবিরোধী' ছাপ্পা মেরে দেওয়া সম্পূর্ণ ভুল। তিনি আরও লেখেন যে, বিরোধী মতকে বরাবরই স্বাগত জানিয়ে এসেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। মতবিরোধ হওয়া মানেই সে ‘শত্রু', এমন সংস্কৃতির ঐতিহ্য বিজেপিতে ছিল না। বরং, তাঁদের ভিন্ন মতাবলম্বী হিসাবে সম্মান দিতেই অভ্যস্ত বিজেপি। মমতা টুইট করে লেখেন, “এই দেশের প্রবীণতম রাজনীতিবিদ হিসাবে বিজেপি নেতা তথা দেশের প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আদবানির যে যে কথাগুলি লিখেছেন, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোনও রাজনৈতিক দলের বিরোধিতা মানেই যে সেটি দেশ বিরোধিতা নয়, এই সত্য ফের মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য আদবানিজিকে ধন্যবাদ”।
'দলের মধ্যে গণতন্ত্র' নিয়ে নিজের ব্লগে বিজেপিকে তোপ লালকৃষ্ণ আদবানির
দীর্ঘদিন ধরে দলে একঘরে হয়েছিলেন তিনি। এবারের লোকসভা নির্বাচনে যে লোকসভা কেন্দ্রের ছ'বারের সাংসদ তিনি, সেখান থেকেও তাঁকে টিকিট দেয়নি তাঁর দল ভারতীয় জনতা পার্টি। যে দলটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসাবে তাঁর, অর্থাৎ, লালকৃষ্ণ আদবানির নামটি জানে গোটা বিশ্ব। অবশেষে ভোটের আগে মুখ খুললেন তিনি। একটি ব্লগ লিখলে বৃহস্পতিবার। যার শিরোনাম- নেশন ফার্স্ট, পার্টি নেক্সট, সেলফ লাস্ট (আগে দেশ, তারপর দল, সবশেষে নিজে)। এই ব্লগে দলের উদ্দেশে তাঁর বার্তা- সামনের দিকে তাকান, পিছনের দিকে তাকান এবং অবশ্যই নিজের ভিতরে তাকান। প্রসঙ্গত, ৯১ বছর বয়সী এই প্রবীণ রাজনীতিবিদের বদলে গান্ধীনগরে বিজেপি টিকিট দিয়েছে দলীয় সভাপতি অমিত শাহ'কে।
"দেশের জন্য মোদীর অবদান কী যে লোকে বায়োপিক দেখবে?", প্রশ্ন মমতার
আদবানি লেখেন, “গণতন্ত্র এবং গণতন্ত্রের বিরাট ঐতিহ্যকে দল এবং দেশের জন্য রক্ষা করাই বিজেপির চিরকালীন হলমার্ক। ভারতীয় গণতন্ত্রের বীজ লুকিয়ে রয়েছে সব ধরনের মতামতকে সম্মান করা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় গভীরভাবে বিশ্বাস করার মধ্যে। বিজেপির একেবারে জন্মলগ্ন থেকেই আমাদের সঙ্গে রাজনৈতিক মতাদর্শের ফারাক রয়েছে এমন কাউকেই ‘শত্রু' বলে দাগিয়ে দেওয়া হয়নি। বরং, তাঁদের ভিন্নমতাবলম্বী হিসেবেই শ্রদ্ধা করেছি আমরা সবসময়”।
শুল্ক দফতরের সামনে হাজিরা দিতে হবে অভিষেকের স্ত্রী'কে, নির্দেশ হাইকোর্টের
তিনি আরও বলেন, “ভারতের জাতীয়তাবাদের যে ধারণা, সেই ধারণার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই ভিন্ন রাজনৈতিক মতাবলম্বীদের কখনওই ‘ভারত-বিরোধী' বলে দাগিয়ে দেওয়ার রাজনীতি করিনি আমরা। ব্যক্তিগত এবং রাজনৈতিক স্তরেও প্রতিটি নাগরিকের মতপ্রকাশের অধিকারের স্বপক্ষেই কথা বলে এসেছে বিজেপি”।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)