This Article is From Apr 06, 2019

"বিজেপিকে খুশি করার জন্যই করা হল",পুলিশকর্তা বদলি নিয়ে কমিশনকে চিঠি মমতার

নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত একেবারেই মেনে নিতে পারেননি তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

রাজ্যের নির্বাচনী প্রস্তুতির পর্যবেক্ষণের পর এই সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন।

হাইলাইটস

  • নির্বাচন কমিশনকে চিঠি মমতার
  • এই সিদ্ধান্ত একতরফা, পক্ষপাতদুষ্ট বলে লেখেন তিনি
  • শুক্রবার রাতেই রাজ্যের ৪ পুলিশকর্তাকে বদলির নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন
কলকাতা:

শুক্রবার সন্ধেবেলা লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha election 2019) শুরুর ঠিক আগের সপ্তাহেই নির্বাচন কমিশন (Election Commission) জানিয়ে দিয়েছিল যে, রাজ্যের ৪ পদস্থ পুলিশকর্তাকে বদলি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মাও। নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত একেবারেই মেনে নিতে পারেননি তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি নির্বাচন কমিশনকে একটি অত্যন্ত কড়া চিঠি লেখেন। যেখানে স্পষ্টভাষায় বলা রয়েছে যে, নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত “গুরুতরভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত”, 'পক্ষপাতদুষ্ট', 'একতরফা' এবং “বিজেপির সুবিধা করে দেওয়ার জন্য নেওয়া”। চিঠিতে তিনি লেখেন, “যেমনভাবে বিভিন্ন ঘটনা ঘটে চলেছে, তাতে নিশ্চিতভাবে এই সংশয় সৃষ্টি হয়েছে যে, নির্বাচন কমিশন সংবিধান মেনে কাজ করছে নাকি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে তোষণ করার জন্য কাজ করছে”।

মোদীকে 'মিথ্যেবাদী' বলে ফের তোপ দাগলেন মমতা

এত গুরুত্বপূর্ণ সব অফিসারদের আচমকা বদলির ফলে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও ব্যাপক সমস্যার মুখে পড়তে পারে বলে মনে করছেন রাজ্যের অন্যান্য পুলিশ অফিসাররা। তাঁদের মতে, যেহেতু, এই নতুন অপিসাররা সবে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বগ্রহণ করেছেন, তাই নির্দিষ্ট এলাকা থেকে ভোটের আগে যে মদ বা অর্থ বাজেয়াপ্ত করে চলেছিল পুলিশ, তা ‘বাধাপ্রাপ্ত' হতে পারে।

মমতা আরও লেখেন, “এই সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিল যে, এটা কি কেবলমাত্র একটি বিশেষ রাজনৈতিক দল এবং তাদের প্রধান নেতাদের অঙ্গুলিহেলনে ঘটল”?

সারদার মালিকের থেকে ৩ কোটি টাকা নিয়েছিলেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা, বললেন মমতা

অন্যদিকে, গতকাল রাতেই নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত জানার পর রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “সত্যি কথা বলতে, হয়তো কয়েকজন পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল। কয়েকজন পুলিশ অফিসার মেট্রো চ্যানেলে মমতার ধর্নামঞ্চেও গিয়েছিলেন, আমরা দেখেছি। এছাড়া, তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী'কে বিমানবন্দরে হেনস্তা করা হয়েছে বলে যে ‘কাহিনি' তৈরি করা হয়েছিল, সেইসময়ও শুল্ক দফতরের কর্তাদের সঙ্গে মিটমাট করার জন্য এই চারজনের মধ্যেই একজন পদস্থ পুলিশ কর্তা গিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে”।

.