মমতার সাংবাদিক সম্মেলন ঘিরে শুরু হয়েছে জল্পনা।
হাইলাইটস
- মমতার সাংবাদিক সম্মেলন ঘিরে শুরু হয়েছে জল্পনা
- মমতা তাঁর দলের নির্বাচনি কৌশলী হিসেবে প্রশান্ত কিশোরের নাম জানাতে পারেন
- এদিন মমতা দলের বিধায়ক, সাংসদদের সঙ্গেও দেখা করবেন বলে জানা যাচ্ছে
কলকাতা: সোমবার দুপুর আড়াইটেয় সাংবাদিক সম্মেলন করবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মমতার এই সাংবাদিক সম্মেলন ঘিরে শুরু হয়েছে জল্পনা। হয়তো এই প্রথম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর দলের নির্বাচনী কৌশলী হিসেবে প্রশান্ত কিশোরের (Prahsant Kishore) নাম প্রকাশ্যে নিয়ে আসতে চলেছেন। সূত্রানুসারে, প্রশান্ত এই মুহূর্তে সাংবাদিক সম্মেলন এড়িয়ে চলছেন একটাই কারণে। তিনি চান না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতির উপর থেকে ফোকাস সরিয়ে দিতে। তিনি উপস্থিত থাকলে তা হতে পারে। তবে এবার হয়তো তাঁকে প্রকাশ্যে নিয়ে আসতে চলেছেন মমতা। আর সেই ঘোষণার জন্যই সোমবারের সাংবাদিক সম্মেলন।
৬ জুন মমতার ভাইপো ও দলের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে আসেন মমতার অফিসে। আর তারপর থেকেই জল্পনা ক্রমেই বেড়েছে। তৈরি হয়েছে কৌতূহল। প্রশান্তর সংস্থা IPAQ এবং তৃণমূলের মধ্যে কী চুক্তি হয়েছে, তা জানতে আগ্রহী ওয়াকিবহাল মহল।
'২১-এর নির্বাচন 'পাখির চোখ' করতে বৈঠক ডাকলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
প্রশান্ত কিশোর নির্বাচনী কৌশলী হিসেবে চমকে দিয়েছিলেন বিহারে। পরে অন্ধ্রপ্রদেশেও পূর্বতন মুখ্যমন্ত্রী বর্ষীয়ান চন্দ্রবাবু নাইডুকে হারিয়ে জগন্মোহন রেড্ডির ক্ষমতায় আসার পিছনেও ছিল প্রশান্তরই ‘স্ট্র্যাটেজি'।
লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির আকস্মিক উত্থান ও তৃণমূলের এক ধাক্কায় ১২টি আসন হারানোর ঘটনায় মমতা উদ্বেগ তৈরি হয়ে যায়। ২০১৪ লোকসভায় তৃণমূল পেয়েছিল ৩৪। এবার তারা পেয়েছে ২২টি আসন। অন্যদিকে বিজেপি গতবারের মাত্র ২ থেকে একলাফে উঠে এসেছে ১৮-এ! শাসক দলের সঙ্গে তাঁদের ফারাক কেবল চারটি আসনের। এখানেই শেষ নয়। ফলাফল ঘোষণার পরেই দলের নেতাদের বিজেপিতে যোগদানের পালা শুরু হয়ে যাওয়া সেই উদ্বেগকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। আর সেই জায়গা থেকেই দলকে বাঁচাতে প্রশান্তর আগমন।
সামাজিক সম্প্রীতির গায়ে আঁচড় ফেলছে মুখ্যমন্ত্রীর তোষণনীতি: ত্রিপাঠি
তৃণমূল কি সত্যিই সোমবার প্রশান্তর ব্যাপারে সব কিছু খোলসা করবে? সেটা সময়ই বলবে। তবে প্রশান্তর সঙ্গে তাঁর চুক্তি ঠিক কী নিয়ে তা নিয়ে জল্পনা ক্রমশ বাড়ছে। প্রশান্ত JDU-র সহ সভাপতি। বিহারে তাঁর দল বিজেপিরই জোটসঙ্গী হয়ে সরকার চালাচ্ছে। আবার বাংলায় তৃণমূলের প্রধানতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি। এই জায়গায় দাঁড়িয়ে পুরো বিষয়টা নিয়ে জল্পনা ক্রমেই বাড়ছে।
এদিন মমতা তাঁর দলের বিধায়কদের সঙ্গেও দেখা করবেন বলে জানা গিয়েছে। দেখা করবেন সাংসদ ও জেলা মুখ্যদের সঙ্গেও। ২০২১ সালের বিধানসভার দিকে তাকিয়ে আগামী ১০০ দিনের রাজনৈতিক কর্মসূচির নীল নকশা সোমবার তৈরি হতে পারে বলেও গুঞ্জন।