This Article is From Jul 27, 2019

সামাজিক সম্প্রীতির গায়ে আঁচড় ফেলছে মুখ্যমন্ত্রীর তোষণনীতি: ত্রিপাঠি

রাজ্যপাল পদ থেকে বিদায় নেবার পরেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করতেন ছাড়লেন না কেশরীনাথ ত্রিপাঠি

সামাজিক সম্প্রীতির গায়ে আঁচড় ফেলছে মুখ্যমন্ত্রীর তোষণনীতি: ত্রিপাঠি

কিছু ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী অতিরিক্ত অনুভূতিপ্রবণ, দাবি প্রাক্তন রাজ্যপালের (ফাইল ছবি)

কলকাতা:

রাজ্যপাল পদ থেকে বিদায় (Outgoing West Bengal Governor) নেবার আগেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) কটাক্ষ করতেন ছাড়লেন না কেশরীনাথ ত্রিপাঠি (Keshari Nath Tripathi)। শনিবার এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো দৃষ্টিভঙ্গি মমতার আছে। তাকে বাস্তবায়িত করারও শক্তি রাখেন তিনি। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে তাঁর তোষণনীতি (appeasement policy) ক্ষতি করছে সামাজিক সম্প্রীতির (social harmony)। একইসঙ্গে ক্ষুণ্ণ করছে দলের ভাবমূর্তিও।  

গণপিটুনিতে দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করুন প্রধানমন্ত্রী: চন্দ্র বসু

এবিষয়ে বিদায়ী রাজ্যপালের মুখ্যমন্ত্রীকে হার্দিক পরামর্শ, একজন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতার উচিত প্রত্যেক নাগরিককে সমান চোখে দেখা। একই সঙ্গে আবেগে সংযমের লাগাম পরানোর কথাও বলেছেন তিনি।  

ত্রিপাঠিজির মতে, "গত পাঁচ বছর কাছ থেকে দেখার ফলে বলছি, মুখ্যমন্ত্রীত্বের সমস্ত গুণ রয়েছে মমতার মধ্যে। তিনি খুব ভালো শাসক, রাজনীতিবিদ। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে তিনি বড়ই আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন। ফলে, সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েও তাকে বাস্তবায়িত করতে পারেন না। ২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে ভালো ফল করতে গেলে এই বিষয়টির ওপর জোর দিতে হবে তাঁকে।"

সারদাকাণ্ডে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েনকে তলব করল সিবিআই

প্রসঙ্গত, আগামী ৩০ জুলাই রাজ্যের নতুন রাজ্যপাল হিসেবে শপথ নেবেন জয়দীপ ধনকর। 

বিদায়ী রাজ্যপালের আরও দাবি, "এই আবেগের বশেই অনেক সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না মমতা। এতে সামাজিক সম্প্রীতির গায়ে আঁচড় পড়ছে।" একই সঙ্গে তিনি জানান সমাজে যে বিশৃঙ্খলা, বৈষম্য তৈরি হয়েছে তার জন্যে দায়ী মুখ্যমন্ত্রী নিজে।

.