তিনি লেখেন, মৃণাল সেনের জীবনাবসানে আমি শোকস্তব্ধ।
হাইলাইটস
- মৃণাল সেনের জীবনাবসানে শোকস্তব্ধ সব মহল
- টুইট করে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী
- রাষ্ট্রপতি লেখেন তাঁর মৃত্যুতে আমি গভীর শোক অনুভব করছি
কলকাতা: মৃণাল সেনের জীবনাবসানে শোকস্তব্ধ সব মহল। টুইট করে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন টুইট করে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো অনেকেই। রাষ্ট্রপতি লেখেন তাঁর মৃত্যুতে আমি গভীর শোক অনুভব করছি। বিভিন্ন ছবিতে সমাজ জীবনের যে বাস্তব চিত্র তিনি তুলে ধরেছেন তার কোনও তুলনা নেই। বাংলা তথা ভারত এবং বিশ্ব সিনেমার বিরাট ক্ষতি হল। মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, মৃণাল সেনের জীবনাবসানে আমি শোকস্তব্ধ। তাঁর মৃত্যুতে চলচ্চিত্র জগতের বিরাট ক্ষতি হল। পরিবারের প্রতি সমবেনা জানাই। সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি লেখেন, মৃণালদার মৃত্যুতে শুধু সিনেমা নয় সমস্ত সাংস্কৃতিক জগতেরই বিরাট ক্ষতি হল।
একদিন প্রতিদিন'-এর জীবন ছেড়ে নীল আকাশের দেশে পাড়ি দিলেন মৃণাল সেন
দেখে নিন মুখ্যমন্ত্রীর টুইটঃ
দেখে নিন রাষ্ট্রপতির টুইটঃ
দেখুন সীতারাম ইয়েচুরির টুইটঃ
বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, মৃণাল সেন একজন কিংবদন্তী ভারতীয় তথা আন্তর্জাতিক ‘ফিল্ম মেকার' বলেই পরিচিত। তিনি ছিলেন একজন সমাজবন্ধু, মানবিক এবং মার্কসবাদী ব্যক্তিত্ব। যদিও তিনি কোনো বামপন্থী রাজনৈতিক দলের সদস্য ছিলেন না। তবে, বামপন্থীদের সমর্থনে রাজ্যসভায় সাংসদ হয়েছিলেন বামফ্রন্ট আমলে। যেখানে যখন সাধারণ মানুষ অত্যাচারিত হয়েছেন তখনই সমাজসচেতন স্রষ্টা এই মানুষটির মন কেঁদেছে। তিনি বিচলিত হয়েছেন। সেই অস্থিতিকর পরিস্থিতির দিনলিপি বর্ণিত হয়েছে তাঁর কাহিনীমূলক বহু চলচ্চিত্রে। মৃণালদা ছিলেন এই দেশ ও বিশ্বের ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে মানবিক সমাজসচেতন এক ব্যক্তিত্ব। তিনি ছিলেন একজন বামপন্থী সৎ ও সাহসী মানুষ। এটা এদেশের সকল বামপন্থী মানুষের গর্ব।
আজ সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ভারতীয় ছবির এই কালপুরুষ। মৃত্যুর সময় বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। ছাত্রজীবন থেকেই বামপন্থী মানসিকতায় বিশ্বাসী ছিলেন চিত্র পরিচালক। বহুকাল ধরেই কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়ার সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত ছিলেন পরিচালক। সাম্প্রতিক কালেওই বিভিন্ন ঘটনায় একাধিকবার সরব হতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তাঁর একাধিক ছবিতেও উঠে এসেছে সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের জীবন সংগ্রামের কাহিনী । মরদেহ এখন বাড়িতেই রাখা আছে । পরিবার সূত্রে খবর, বিকেলের দিকে দেহ নিয়ে যাওয়া হবে পিস ওয়ার্ল্ডে । ছেলে কুণাল সেন শিকাগোয় থাকেন। তিনি ফিরে এলেই শেষকৃত্য হবে বলে জানা গিয়েছে ।