Read in English
This Article is From May 23, 2020

আমফান মোকাবিলায় সেনার সাহায্য চাওয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করলেন জগদীপ ধনখড়!

তিনটি টুইট পোস্ট করেছিলেন যাতে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে মোটেও আক্রমণ করেননি- প্রাক্তন বিজেপি নেতার এ এক সত্যিই বিরল পদক্ষেপ।

Advertisement
সিটিস Edited by
কলকাতা :

রাজ্যপাল আর রাজ্য সরকার! পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের সম্পর্ক যুযুধান। তবে, শনিবার সাইক্লোন আমফানে বিধ্বস্ত অত্যাবশ্যকীয় পরিকাঠামো ও পরিষেবা পুনরুদ্ধারে সেনাবাহিনীর সাহায্য চাওয়ার বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেনাবাহিনীর সমর্থন ও সহায়তা চাইছেন, এটি একটি ভাল পদক্ষেপ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চেষ্টা চলছে এবং মানুষকে ধৈর্য ধরে শান্ত থাকার জন্য আবেদন করছি। কর্তৃপক্ষকে যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ও অন্যান্য পরিষেবা দ্রুত পুনরুদ্ধার করতে হবে,” রাজ্যপাল টুইটে লেখেন।

সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বঙ্গোপসাগরের সবচেয়ে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আমফানে রাজ্যের বিস্তীর্ণ অংশ বিধ্বস্ত হওয়ার কারণে অবশ্য ইদানীং কম আক্রমণাত্মক দেখা গিয়েছে রাজ্যপালকে। এর আগে, তিনি তিনটি টুইট পোস্ট করেছিলেন যাতে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে মোটেও আক্রমণ করেননি- প্রাক্তন বিজেপি নেতার এ এক সত্যিই বিরল পদক্ষেপ।

“মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নরেন্দ্র মোদির সফরকালে পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতা করেছেন। সদর্থক সহযোগিতা অনুধাবনযোগ্য এবং দ্বন্দ্বমূলক অবস্থান বিষয়টিও এখানে বাধা সৃষ্টি করেনি। রাজ্য ও তার জনগণের জন্য এটি একটি ইতিবাচক বিকাশ। @পিএমও পশ্চিমবঙ্গকে সমস্ত সহায়তা প্রদান করার ঘোষণা করে পাশে থেকেছেন,” শুক্রবার প্রথম টুইটে লেখেন রাজ্যপাল।

Advertisement

সমালোচনার জেরে থাকলেও, একটি ফলো-আপ টুইটও সম্মতিজনক বলে মনে হয়েছিল। “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ! রাজ্যের মঙ্গলের জন্য আশার আলো। আমাদের সংবিধানে দ্বন্দ্বমূলক পদ্ধতির কোনও স্থান নেই। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী-কিসান প্রকল্প গ্রহণ না করে আমাদের কৃষকদের সাত হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে, আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প না গ্রহণ করায় আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাও সংকটের মুখে,” লেখেন জগদীপ ধনখড়।

এবং তৃতীয় টুইট হল এটি:

Advertisement

গতবছর তাঁর নিয়োগের পর থেকেই, করোনা ভাইরাস মহামারী থেকে শুরু করে গত বছরের দুর্গাপুজো উদযাপনে টেলিভিশন সম্প্রচার থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া সহ বহু বিষয় নিয়ে রাজ্য সরকারের সাথে মতবিরোধ তৈরি হয় রাজ্যপালের।

রাজ্য সরকারও পালটা তাঁর বিরুদ্ধে সরকারের কাজে হস্তক্ষেপ এবং মুখ্যমন্ত্রীকে অবমাননাকর বার্তা পাঠানোর অভিযোগ করেছে।

Advertisement

শুক্রবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত অঞ্চলগুলি বিমানে চেপে পরিদর্শন করেন ৬৯ বছর বয়সী এই নেতা।

বুধবার সন্ধ্যায় এই রাজ্যে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় আমফান। মূলত দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর সহ অন্তত ১৪ টি জেলায় মোট ৮৬ জনের প্রাণহানি ঘটয়েছে ও ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে আমফান।

Advertisement