মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার চা বাগান নতুন করে খোলার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছে।
বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন রাজ্যের পরিবহন ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আংশিক শিথিল করার কথা ভাবছে তাঁর সরকার। পাশাপাশি কোনও কোনও শিল্পক্ষেত্রে অল্প করে উৎপাদন শুরু করার সম্ভাবনার কথাও বলেন তিনি। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে দেশে এই মুহূর্তে চলছে লকডাউন। রাজ্যের বাণিজ্য ও শিল্পমহলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করার পরে একথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বহনের জন্য ট্যাক্সি ব্যবহারের কথা ভাবছে।
তিনি বলেন, ‘‘আমরা এরই মধ্যে খাবার ও অন্য জিনিসপত্রের হোম ডেলিভারির অনুমতি দিয়েছি। কিছু পরিবহণ তো সেক্ষেত্রে দরকার। কিন্তু বেশি পরিমাণে নয়। তবে যাই করি না কেন, মানুষের প্রাণ বাঁচাতে লকডাউনের কথা মাথায় রেখেই করতে হবে।''
সংক্রমণ চিহ্নিত করতে এবার নতুন পথে হাঁটছে আইসিএমআর
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক তাদের জন্য আবশ্যিক করতে হবে।''
তিনি কর্পোরেট ও শিল্পমহল প্রতিনিধিদের বলেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহারের বিষয়টি যেন খেয়াল রাখা হয়। রাজ্যের ক্ষুদ্র শিল্পকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও পুনর্ব্যবহারযোগ্য কাপড়ের মাস্ক তৈরিতে যুক্ত করার কথাও বলেন তিনি।
শিল্পক্ষেত্রের প্রতিনিধিদের তিনি বলেন, সরকারি লাইসেন্সের মেয়াদ ৩১ মার্চ থেকে বাড়িয়ে ৩০ জুন করা হয়েছে।
চা শিল্পের প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার চা বাগান নতুন করে খোলার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছে। চা বাগানে ১৫ শতাংশ শ্রমিক দিয়ে চা বাগানের কাজ শুরু করার কথা বলেন তিনি।
সরকারের আর্থিক সহায়তার প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমাদের হাত বাঁধা। প্রতি বছর বড় অংশের অর্থ দিতে হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের ঋণ মেটাতে। আমাদের পক্ষে কোনও ছাড় দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বিদ্যুৎ শুল্কে ছাড় দেওয়ার ক্ষেত্রে।'' তিনি আরও বলেন এক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার ক্ষমতা একমাত্র কেন্দ্রের রয়েছে।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)