ব্যালট পেপারেই ভোট করার দাবিতে সোচ্চার হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
হাইলাইটস
- ভোটযন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
- তাঁর দাবি ব্যালট পেপার পদ্ধতির প্রত্যাবর্তন।
- তিনি বলেন, ১৮টিতে বিজেপি জিতেছে কেবল বামফ্রন্টের বদান্যতায়।
কলকাতা: লোকসভা নির্বাচনে ব্যবহৃত ভোটযন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তুললেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধী দলগুলিকে একত্রিত হয়ে ব্যালট পেপারেই ভোট করার দাবিতে সামিল হতে বললেন তিনি। তিনি বলেন, ইভিএম-এর বিস্তারিত খুঁটিয়ে দেখতে একটি সত্যানুসন্ধানী কমিটি গঠন করা উচিত। তিনি বলেন, ‘‘গণতন্ত্রকে আমাদের বাঁচাতেই হবে। আমরা যন্ত্র চাই না। আমাদের দাবি ব্যালট পেপার পদ্ধতির প্রত্যাবর্তন। আমরা এই নিয়ে আন্দোলন করব আর তা শুরু হবে বাংলা থেকেই।'' আজ নির্বাচনে দলের খারাপ ফল নিয়ে পর্যালোচনা করতে দলের বিধায়ক ও রাজ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে একটি বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকের পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘আমি বিরোধী ২৩টি দলকেই বলব একত্রিত হয়ে ব্যালট পেপারকে ফিরিয়ে আনার দাবি জানাতে। এমনকী, আমেরিকার মতো দেশও ইভিএম-কে নিষিদ্ধ করে দিয়েছে।''
জোট শেষ? মায়াবতী জানালেন উপ নির্বাচনে বিএসপি একাই লড়বে: সূত্র
তিনি বলেন, বিজেপি নির্বাচনে জিততে অর্থ, পেশিশক্তি, সংবাদমাধ্যম, প্রতিষ্ঠান এবং সরকারকে কাজে লাগিয়েছে। রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে ১৮টিতে বিজেপি জিততে পেরেছে কেবল বামফ্রন্টের বদান্যতায়। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি কেবল ১৮টি আসনেই জিতেছে, ২৩টিতে নয়, যা তারা দাবি করছে... আর সেটাও পেরেছে বাম ফ্রন্টের জন্য। কিন্তু আমরা আমাদের ভোট ৪ শতাংশ বাড়াতে পেরেছি।''
এবারের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ১৮টি আসন পায়। তৃণমূল পায় ২২টি। ২০১৪ লোকসভায় বিজেপি পেয়েছিল মাত্র ২টি আসন। তৃণমূল পেয়েছিল ৩৪টি। অর্থাৎ এবার বিজেপি ১৬টি আসন বেশি পেয়েছে। যেখানে তৃণমূল পেয়েছে ১২টি আসন কম। এদিকে মুকুল রায়ের ছেলে শুভ্রাংশর রায় সহ তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী মিলিয়ে অনেকেই যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। প্রসঙ্গত, গত এপ্রিলে কলকাতার কাছেই এক মিছিলে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘‘দিদি, ২৩ মে ফলপ্রকাশের পরে সর্বত্র পদ্ম ফুটবে। এবং আপনার বিধায়করা আপনাকে ছেড়ে পালাবে। এমনকী, এই মুহূর্তে আপনার ৪০ জন বিধায়ক আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন দিদি।''
অজিত ডোভাল বহাল জাতীয় সুরক্ষা উপদেষ্টা পদেই, পাঁচ বছরের জন্য পেলেন মন্ত্রক
নির্বাচনের ফল বেরনোর পরেই তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান শুরু হয়েছে। বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় নির্বাচনের সময়ে বিজেপির পক্ষে এরাজ্যের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে যেমন সাত পর্যায়ে ভোট হল, তেমনই বিজেপিতে নেতাদের যোগদানও সাত পর্যায়ে হবে। আজ ছিল কেবল তার প্রথম পর্যায়।''