কৈলাস বিজয়বর্গীয়র দাবি, নিরাপত্তা বাহিনী রাজ্যের তৃণমূল নেতাদের বাড়ি ঢুকে তল্লাশি চালালে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্রের সন্ধান পাবে।
হাইলাইটস
- কৈলাসের দাবি, ‘বোমা ও পিস্তল’ পূর্ব ভারতের রাজনৈতিক দলের প্রধান হাতিয়ার।
- গত ক’দিনে রাজ্যে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেছে।
- লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপি পেয়েছে ১৮টি আসন।
কলকাতা: দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য। মঙ্গলবার এমনই অভিযোগ জানালেন বর্ষীয়ান বিজেপি (BJP) নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya)। রাজ্য বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত সম্পাদক কৈলাস দাবি করেন, ‘বোমা ও পিস্তল' পূর্ব ভারতের রাজনৈতিক দলের প্রধান হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। তিনি(Kailash Vijayvargiya) আরও দাবি করেন, নকশালদের আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করছে রাজনৈতিক দলগুলি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় তুলে তিনি বলেন, ‘‘দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকারের জন্য। এদের বহিষ্কার করা দরকার। অনুপ্রবেশকারীরা নিয়মিত সীমান্তরেখা পেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকছে। দলগুলি বেআইনি অস্ত্র তুলে দিচ্ছে রাজ্যের সক্রিয় নকশালদের হাতে। বোমা ও পিস্তল এখানকার রাজনৈতিক দলগুলির প্রধান হাতিয়ার।'' তাঁর দাবি, নিরাপত্তা বাহিনী রাজ্যের তৃণমূল নেতাদের বাড়ি ঢুকে তল্লাশি চালালে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্রের সন্ধান পাবে।
বাংলা গুজরাট নয়, বিদ্যাসাগরের মূর্তি উন্মোচন করে মন্তব্য মমতার
রাজ্যের সাম্প্রতিক অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করেন। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকেই(BJP) রাজ্যে হিংসা ছড়ানোর জন্য দায়ী করেছেন। নির্বাচনের সময় থেকে রাজ্যে শুরু হওয়া হিংসা এখনও অব্যাহত। কয়েক জায়গায় বিজয় মিছিলকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। রাজ্য সরকারের তরফে কোনও দলের বিজয় মিছিলের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল বিজয় দিবস বের করলেও বিজেপিকে আটকানো হচ্ছে। বিজেপির আরও অভিযোগ, রাজ্য সরকারের ইশারায় পুলিশ বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বিব্রত করছে।
গত শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে বিজেপি ও তৃণমূলের সংঘর্ষে তিনজন রাজনৈতিক কর্মীর মৃত্যু হয়েছে।দুই বিজেপি(BJP) কর্মীর মৃত্যুর প্রতিবাদে বিজেপির পক্ষ থেকে সোমবার ১২ ঘণ্টার বনধ ডাকা হয়েছিল। বিজেপি ‘কালা দিবস' পালন করছে সেদিন।
পুলিশের একাংশ কাজ করছে না, মানলেন মমতা, পদত্যাগ করুন, দাবি বিজেপির
তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখে জানানো হয়েছে, রাজ্যকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পরামর্শদান আসলে ক্ষমতা দখলের জন্য বিজেপির গভীর চক্রান্ত। লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপি(BJP) পেয়েছে ১৮টি আসন। এদিকে তৃণমূল পেয়েছে ২২টি আসন। ২০১৪ সালে তারা ৩৪টি আসন পেয়েছিল। এবার তার থেকে এক ধাক্কায় বারোটি আসন কমে গিয়েছে।