বিজেপির বৃদ্ধির জন্য কংগ্রেস (Congress) ও বামেদের শক্তি ক্ষয়কেও একই সঙ্গে কাঠগড়ায় তুলেছেন বহরমপুরের সাংসদ।
কলকাতা: লোকসভা ভোটে বিজেপি (BJP) কাঁটায় বিদ্ধ তৃণমূল (TMC)। বাংলায় গেরুয়া শিবিরের এই বাড়বাড়ন্তে জন্য তৃণমূল নেত্রীকেই দায়ী করলেন লোকসভার কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury)। তাঁর কথায় মমতা বন্দোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নীতি ও দলের কার্যকলাপের জন্যই বিজেপিতে আস্থা রাখতে বাধ্য হয়েছেন মানুষ। পদ্মের পাপড়ি মেলার জন্য কংগ্রেস (Congress) ও বামেদের শক্তি ক্ষয়কেও একই সঙ্গে কাঠগড়ায় তুলেছেন বহরমপুরের সাংসদ। অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury) বলেন, ‘তৃণমূলের বিরোধী হিসাবে রাজ্যবাসী বিজেপিকে (BJP) মেনে নিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বাম ও কংগ্রেসকে ভাঙিয়ে তৃণমূলের শক্তি বাড়িয়েছেন। বিরোধী শূন্য করতে চেয়েছেন। যার জেরে বিরোধীদের ফাঁকা জায়গা দখল করার সুযোগ পেয়ে গিয়েছে গেরুয়া দলটি।'
কংগ্রেসের এই নেতার দাবি, রাজ্যে ক্ষমতায় এসে থেকেই ঘর ভাঙানোর রাজনীতি করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। একই কায়দায় জোড়াফুল ভাঙাচ্ছে বিজেপি। যা রাজনীতির ক্ষেত্রে আশঙ্কা ও আতঙ্কের। এখন মুখ্যমন্ত্রী আদর্শের রাজনীতির কথা বলছেন। যা তাঁর মুখো শোভা পায় না। বাংলায়বি জেপির উত্থান আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৃত কর্মের মাশুল।
বহরমপুরের সাংসদ সবসময়ই তৃণমূল বিরোধী বলে পরিচিত। লোকসভা ভোটের আগে কংগ্রেস তৃণমূল জোটের খবর শোনা যেতেই তার সমালোচনা করেন তিনি। তাঁর সেই বিরোধীতা এখনও অুটট।
২০১৯ এর লোকসভায় তৃণমূলের আসন ৩৪ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ২২। অন্যদিকে, বিজেপি ২ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৮। আসনের প্রেক্ষিতে বামেদের অস্তিত্ব নেই। কংগ্রেসের শক্তি ৪ থেকে কমে হয়েছে ২। ভোট প্রাপ্তির শতাংশের হারে তৃণমূল এগোলেও ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে গেরুয়া শিবির।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)