একটি অন্তর্বর্তী বৈঠকে কৈলাস বিজয়বর্গীয় ক্ষোভ উগরে দিলেন মমতার প্রতি।
হাইলাইটস
- একটি অন্তর্বর্তী বৈঠকে কৈলাস ক্ষোভ উগরে দিলেন মমতার প্রতি।
- দলীয় কর্মীদের ধৈর্য ধরতে বলেন বিজয়বর্গীয়।
- বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও মমতার সমালোচনা করেন।
কলকাতা: বিজেপির (BJP) সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya) বুধবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলেন যে, মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের উন্নয়নকে আটকে দিচ্ছেন নিজের অহংকে তুষ্ট করতে গিয়ে। এদিন দলের কর্মীদের একটি অন্তর্বর্তী বৈঠকে কৈলাস ক্ষোভ উগরে দিলেন মমতার (Mamata Banerjee) প্রতি। তিনি বলেন, ‘‘উনি জনতার সেবা করার থেকে নিজের চেয়ার বাঁচাতেই বেশি ব্যস্ত। উনি সুপ্রিম কোর্ট, নির্বাচন কমিশন, নীতি আয়োগ, প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় সরকার কাউকেই মানেন না। উনি এমন ভাব করছেন যেন বাংলা দেশের একটা অংশ নয়, আলাদা দেশ। নিজের অহংকে তুষ্ট করতে গিয়ে মমতা দেশের স্বার্থের ক্ষতি করছেন।'' মঙ্গলবার মমতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে যাবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন। ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী প্রস্তাবিত ‘এক দেশ এক নির্বাচন' নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। মমতা সেখানে না গিয়ে জানিয়ে দেন একটি ‘শ্বেতপত্র' প্রকাশ করুক কেন্দ্র। তারপর তা নিয়ে আলোচনা হবে।
বেশীরভাগ দলের সমর্থন, “এক দেশ, এক নির্বাচন”-এ: বৈঠকের পর বলল কেন্দ্র
বিজেপির(BJP) রাজ্য নেতৃত্ব দলীয় কর্মীদের নিয়ে একটি অন্তর্বর্তী বৈঠক করেন বুধবার। সেখানে মমতার উদ্দেশে বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা কৈলাস(Kailash Vijayvargiya) বলেন, ‘‘ওঁর প্রধান উদ্দেশ্য হল ভোট ব্যাঙ্ক রাজনীতি। তাই উনি এখন বাঙালি-অবাঙালি ভেদ সৃষ্টি করতে চাইছেন। ওঁর মুসলিম তোষণের রাজনীতি রাজ্যকে প্রভাবিত করছে।'' সম্পর্তি বিজেপি কর্মীদের উপরে হওয়া আক্রমণের প্রসঙ্গে কৈলাস দলীয় কর্মীদের ধৈর্য ধরতে বলেন। তাঁর মতে, বিজেপিকে দায়িত্ববান হতে হবে, কারণ জনতা বিজেপিকে বিকল্প হিসেবে দেখছে।
তিনি মমতাকে(Mamata Banerjee) নিয়ে আরও বলেন, ‘‘ওঁর কর্তব্য দলীয় কর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করা যারা আমাদের কর্মীদের উপরে আক্রমণ করেছে। আমরা ওদের ভাষাতেই ওদের উত্তর দিতে পারি। কিন্তু আমরা সেটা করব না। আমরা গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাস করি।''
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও মমতার(Mamata Banerjee) সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, মমতাকে লোকসভা নির্বাচনে হারের ধাক্কা থেকে সামলে উঠতে হবে। তিনি বলেন, এই কারণেই তৃণমূল নেত্রী নানা অছিলায় কেন্দ্র বা বিজেপির ডাকা বৈঠককে এড়িয়ে যাচ্ছেন।