This Article is From Jul 08, 2019

স্ত্রীর ধর্ষণের রিপোর্ট করতে গিয়ে পুলিশি অত্যাচারের শিকার

উত্তরপ্রদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে ট্যুইটে ঘটনার কথা স্বীকার করে জানানো হয়, “মৈনপুরী জেলায় নিজের স্ত্রীর ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করতে আসা স্বামীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন পুলিশ কর্মীরা”

স্ত্রীর ধর্ষণের রিপোর্ট করতে গিয়ে পুলিশি অত্যাচারের শিকার

৩ দুষ্কৃতী মিলে মহিলাকে অপহরণ করে ধর্ষণ করে

লখনউ:

পুলিশের ( Uttarpradesh Police) কাছে নিজের স্ত্রীর অপহরণ ও ধর্ষণের (kidnapping and rape) অভিযোগ দায়ের করতে এসেছিলেন তিনি।উল্টে তাঁকেই আটকে থার্ড ডিগ্রির অত্যাচার করার অভিযোগ উঠল উত্তরপ্রদেশের ( Uttar Pradesh) মৈনপুরীর (Mainpuri) পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে।উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডিজি ও পি সিং জানিয়েছেন এই ঘটনার পরেই সাসপেন্ড করা হয়েছে মৈনপুরীর স্টেশন হাউস অফিসার এবং অন্য পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে। গত শুক্রবার ঘটে ওই ঘটনা।উত্তরপ্রদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে ট্যুইট করে ঘটনার কথা স্বীকার করে জানানো হয়, “মৈনপুরী জেলায় নিজের স্ত্রীর ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করতে আসা স্বামীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে”। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই ওই পুলিশ আধিকারিক ও তাঁর সঙ্গের পুলিশ কর্মীদের সাসপেন্ড করার নির্দেশ দেন ডিজিপি ওপি সিং। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয় এবং তাঁদের গারদে পোরা হয়।

উত্তরপ্রদেশের মৈনপুরী জেলার বিছওয়ান থানায় ওই ঘটনাটি ঘটেছে যেটি সমাজবাদী পার্টির নেতা মুলায়ম সিং যাদবের লোকসভা কেন্দ্র বলে পরিচিত।

জানা গেছে, মৈনপুরীতে স্ত্রীকে বাইকে করে নিয়ে যখন বেড়াতে বের হন তাঁর স্বামী তখনই ওই অপহরণের ঘটনা ঘটে।গাড়িতে করে ৩ দুষ্কৃতী এসে তাঁদের বাইকের রাস্তা আটকে দাঁড়ায় ও মহিলাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অভিযোগ মহিলাকে অপহরণ করার পর তাঁকে গণধর্ষণও করে ওই দুষ্কৃতীরা।অপহরণ করার সময় ওই দুষ্কৃতীদল মহিলার স্বামীর চোখ লক্ষ্য করে কোনো একটি পাউডার ছোঁড়ে, যার ফলে সাময়িক সময়ের জন্যে চোখে অন্ধকার দেখেন তিনি। আর সেই সুযোগেই ওই ব্যক্তির স্ত্রীকে অপহরণ করে দুষ্কৃতীরা। ঘটনার বেশ কিছু সময় পর ওই অপহরণের জায়গা থেকে বেশ কিছুটা দূরে পড়ে থাকতে দেখা যায় ওই মহিলাকে।

স্ত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর হুঁশ ফেরে তাঁর স্বামীর এবং তিনি বেশ কয়েকবার সাহায্যের জন্যে পুলিশের হেল্পলাইন নাম্বার ডায়ালও করেন। ফোন পেয়ে পুলিশ কর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে কিছু দেখতে না পেয়ে ওই ব্যক্তি মিথ্যা অভিযোগ করেছেন বলে তাঁর উপর চড়াও হন। তাঁকে অমানুষিক নির্যাতনও করেন তাঁরা।এমনকি ওই ব্যক্তির দুটি আঙুলও ভেঙে দেন ওই পুলিস কর্মীরা।

এরপর কোনোক্রমে নিগৃহীতা মহিলা নিজে থানায় গিয়ে তাঁকে অপহরণ সহ গোটা ঘটনার কথা খুলে বললে এফআইআর দায়ের করে পুলিশ।

তবে ওই মহিলার স্বামীর উপর পুলিশি নির্যাতনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিক রাজেশ পাল সিং ও অন্য দুই পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়।

.