This Article is From Mar 15, 2019

প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার নিষিদ্ধ মাদক সহ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল এসটিএফ

৭০০ গ্রাম হেরোইন সহ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল  কলকাতা পুলিশ  স্পেশাল টাস্কফোর্স (এসটিএফ)। 

Advertisement
Kolkata

কম বয়সী ছেলেমেয়েদের নেশার  অভ্যাস করিয়ে দেওয়াই লক্ষ্য পাচারকারীদের

Highlights

  • প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার নিষিদ্ধ মাদক সহ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল এসটিএফ
  • উদ্ধার হওয়া মাদকের আনুমানিক বাজারদর ওই ৩৫ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা
  • ওই ব্যক্তিকে চিতপুর থানার দমদম রোড এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে
কলকাতা:

৭০০ গ্রাম হেরোইন সহ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল  কলকাতা পুলিশ  স্পেশাল টাস্কফোর্স (এসটিএফ)।  মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা তুয়েল মিস্ত্রি নামে  চিতপুর থানার  দমদম রোড এলাকা থেকে  গ্রেফতার করা হয়েছে।  এসটিএফ জানিয়েছে  উদ্ধার  হওয়া  মাদকের আনুমানিক বাজারদর  ওই ৩৫ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা। কলকাতা  এবং আশপাশের এলাকায় মাদকের কারবার বড় আকার নিচ্ছে। এসব  বন্ধ করতে  কলকাতা  পুলিশের এসটিএফের পাশাপাশি কাজ  করে চলেছে ন্যারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো ( এনসিবি)। তারা জানতে মাদক পাচারের এই কারবারে বিদেশিদের ভূমিকা  আছে। শহরের কম বয়সী ছেলে  মেয়েদের নেশার  অভ্যাস করিয়ে দেওয়াই তাদের লক্ষ্য।           
           

 কয়েক মাস আগে  শিয়ালদা স্টেশনের পাশে থাকা বিগ বাজারের সামনে থেকে 19 গ্রাম নিষিদ্ধ মাদক সহ  কেনিয়ার বাসিন্দা ফিলস মিউজি নামে এক মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়। 22টি লজেন্সের প্যাকেটের মধ্যেই ছিল এই মাদক। তাছাড়া ধৃতের কাছ থেকে  8700 টাকাও  পাওয়া গিয়েছে বলে খবর ।  এনসিবির দাবি উদ্ধার হওয়া মাদকের মূল্য প্রায় দেড় লাখ টাকা। মহিলাকে জেরা করে জানা গিয়েছে সে ওই দিনই  দিল্লি থেকে রাজধানী এক্সপ্রেসে  শহরে এসেছে। ‘নির্দিষ্ট জায়গায়' মাদক পৌঁছে দেওয়ার পর শিয়ালদা থেকে ট্রেন ধরে তার দিল্লি ফেরার পরিকল্পনাও ছিল ফিলসের । কিন্তু তার আগেই তাকে  গ্রেফতার করলেন এনসিবির আধিকাররিকরা।                               

বিদেশের নাগরিকদের সাহায্যে কলকাতায় নিষিদ্ধ মাদকের আনাগোনা কোনও নতুন বিষয় নয়। মাঝে মধ্যেই বিমান বন্দর বা স্টেশন চত্বর থেকে মাদক সহ গ্রেফতার হন বিদেশিরা। সাম্প্রতিককালে এই প্রবণতা অনেকটাই বেড়েছে। শুধু তাই নয় তদন্ত সংস্থার কাছে এটাও স্পষ্ট এই মাদক চক্রের টার্গেট কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। মোটা টাকার বিনিমিয়ে তাঁদের কাছেই পৌঁছে যায় নিষিদ্ধ সমস্ত মাদক। কয়েক মাস আগে বিধাননগরের একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংবাদ শিরোনামে উঠে আসে। এনসিবির তরফেই বলা হয় সেখানকার বেশ কিছু পড়ুয়া মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছেন। শুধু এই কলেজ নয় আরও বেশি কিছু জায়গায় ছড়িয়ে রয়েছে মাদক চক্রের জাল। এদিনের ঘটনার সঙ্গে সেগুলির কোনও যোগাযোগ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।  

Advertisement
Advertisement