স্ত্রীকে টুকরো করে পুড়িয়ে দিল স্বামী!
রায়বেরিলি: ২৭ বছরের গর্ভবতী স্ত্রীকে প্রথমে কেটে টুকরো করল স্বামী। তারপর নিজের অপকীর্তি ঢাকতে কাটা টুকরো একত্রিত করে জ্বালিয়ে দিল। Uttar Pradesh-এর এই শিউরে ওঠা সামনে আসতেই প্রশ্ন জেগেছে সবার মনে, পশুও কি এতটাই হিংস্র? প্রশাসনের কানে পৌঁছোতেই তড়িঘড়ি অপরাধীকে গ্রেফতার করেছে Rae Bareli পুলিশ। খবর, অভিযুক্ত স্ত্রীকে এমন মর্মান্তিক ভাবে খুন করেছে ৪ জানুয়ারি। খবর জানাজানি হয় মৃতার বড় মেয়ে মামাবাড়িতে দিদার কাছে এসে যখন গোটা ঘটনা জানায়। সেই একমাত্র মায়ের খুনের প্রত্যক্ষদর্শী। সঙ্গে সঙ্গে মৃতার পরিবার লিয়কিত অভিযোগ দায়ের করেন থানায় গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত Ravindra Kumarকে। দেহের অবশিষ্ট অংশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে।
বিষয়টির ওপর আলোকপাত করেছেন শীর্ষস্থানীয় অফিসার বিনীত সিং। তিনি জানান, মৃত ঊর্মিলা দেবীর বোন ১০ জানুয়ারি ডিহ থানায় অভিযোগ দায়েরের পরেই রবীন্দ্রর বাড়িতে হানা দেয় প্রশাসন। কিন্তু দেহ দেখে চেনার উপায় ছিল না, দেহটি কার। এদিকে ৪ জানুয়ারি হত্যাকাণ্ডের পরেই ১১২ হেল্পলাইনে ফোন করে স্ত্রী নিখোঁজ বলে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের কাছে অভিযোগ জানায় রবীন্দ্র। মেয়ের মুখে সমস্ত ঘটনা শোনার পর বাড়িতে হানা দেওয়ার আগেই বেপাত্তা অভিযুক্ত। পরে নানা জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হয় তাকে।
২০১১-য় বিয়ে হয়েছিল রবীন্দ্র-ঊর্মিলার। তাঁদের ১১ এবং সাত বছরের দু'টি মেয়ে আছে। তারপরেও ছেলের শখ ছিল রবীন্দ্র। তাই আবার গর্ভধারণ করেন স্ত্রী। গ্রেফতারের পরে জেরার মুখে ভেঙে পড়ে রবীন্দ্র। জানায়, ৪ জানুয়ারি কথা কাটাকাটি থেকে অঘটনের সূত্রপাত। মাথা ঠাণ্ডা রাখতে না পেরে সে প্রথম ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে স্ত্রীকে। তারপর দেহ টুকরো টুকরো করে জ্বালিয়ে দেয়। পোড়া দেহের বাকি অংশ এবং ছাই শেষে ব্যাগে ভরে বাড়ি থেকে ৪ কিমি দূরে ভ্যাটে পুঁতে দিয়ে আসে। কিন্তু ধর্মের কল বাতাসে নড়ায় শেষরক্ষা হল না শেষপর্যন্ত।