পশুপতি গিরিশের মুণ্ডু ও লাশটি স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে নিয়ে আসে এবং আত্মসমর্পণ করে
হাইলাইটস
- মাকে যৌন নিগ্রহ করার প্রতিবাদে বন্ধুর মাথা কেটে খুন
- কাটা মুণ্ডু নিয়ে পুলিশের কাছে গিয়ে আত্মসমর্পণ
- একমাসে তিনবার এমন ঘটনা ঘটল কর্ণাটকে
মাণ্ড্য, কর্ণাটক: বেশ কয়েকবছর আগে কলকাতা কেঁপে উঠছিল এক বীভৎস ঘটনা দেখে। স্ত্রীয়ের সঙ্গে অন্য পুরুষের সম্পর্ক জেনে স্ত্রীয়ের মাথা কেটে সেই কাটা মুণ্ড হাতে ঝুলিয়ে পুলিশ স্টেশনে জমা দিয়ে এসেছিলেন এক ব্যক্তি। একই রকম ঘটনার সাক্ষ্মী রইল কর্ণাটকও। মাকে যৌন নিগ্রহ করার অভিযোগে নিজের বন্ধুর মাথা কেটে ফেললেন এক ব্যক্তি। ঘটনাটি কর্ণাটকের মাণ্ড্য জেলার। মাকে যৌন নির্যাতনের চেষ্টা করার পর বন্ধু গিরীশের মাথা কেটে ফেলেন পশুপতি নামের ওই ব্যক্তি।
এই ঘটনার পর, পশুপতি গিরিশের মুণ্ডু ও লাশটি স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে নিয়ে আসে এবং আত্মসমর্পণ করে। গত এক মাসে এই নিয়ে এরকম তিনটি ঘটনা ঘটল এই রাজ্যে। বৃহস্পতিবারই শ্রীনিবাসপুরের বাসিন্দা আজিজ খান একজন নারীর কাটা মুণ্ডু নিয়ে থানায় পৌঁছান। সূত্রের খবর ওই মহিলার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তাঁর।
এই মাসের গোড়ার দিকে, চিকমাঙ্গালুরুর পুলিশ স্টেশনে এসে পৌঁছান সতীশ নামের এক ব্যক্তি। পুলিশকে জানান, তাঁর স্ত্রীকে অন্য একজন পুরুষের সঙ্গে দেখেছিলেন তিনি, সেই কারণেই শাস্তি দিতে মাথা কেটে ফেলেন। অন্য পুরুষ্টি অবশ্য ঘটনাস্থল থেকে পালাতে সক্ষম হয়। পুলিশ স্টেশন অব্দি মোটর সাইকেল করে আসেন সতীশ। সঙ্গে একটি থলে তাঁর মধ্যে স্ত্রীয়ের মাথা। 20 কিমি দূরে পুলিশ স্টেশনে এসে আত্মসমর্পণ করেন তিনি।
ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন যে, তাঁর এই ঘটনায় কোনও অনুশোচনা নেই। তাঁর শুধু খারাপ লাগছে যে তাঁর স্ত্রীয়ের প্রেমিককে তিনি খুন করতে পারলেন না।