ফের রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া! (প্রতীকী)
কলকাতা: ফের রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া। ফের মানসিক ভারসাম্যহীন পার্থ দে-র কাজের পুনরাবৃ্ত্তি। এবং এবারেও ঘটনাস্থল শহর কলকাতা। বৃহস্পতিবার, Behala-র পর্ণশ্রীতে এক বৃদ্ধের পচাগলা শব উদ্ধার করল স্থানীয় পুলিশ। অভিযোগ, পাঁচ দিন আগেই নাকি মৃত্যু হয়েছে তাঁর। কিন্তু ছেলে সৎকার করতে দেননি বাবার দেহ। গত পাঁচ দিন ধরে গলিত শব আগলে বন্ধ ঘরে বসেছিলেন তিনি।
টালা সেতুর নীচে ক্রসিং, রেলকে টাকা দিল রাজ্য
খবর, মৃতের নাম রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। ৮৫ বছরের এই বৃদ্ধ মানসিক বয়জনিত কারণে ভুগছিলেন বেশ কিছুদিন ধরেই। সেই থেকেই সম্ভবত মৃত্যু। কিন্তু তাঁর ছোট ছেলে অজিত কুমার ঘোষ নাকি বাবার দেহ সৎকারে বাধা দেন। বড় ছেলে Ashok Kumar Ghosh-এর দাবি, মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় ছোট ভাই জোর করে পাঁচদিন ধরে দেহ আটকে রাখেন বৃদ্ধের। তারপরেই তিনি থানায় খবর দিলে দেহ উদ্ধার করে প্রশাসন। স্থানীয় প্রশানের কথায়, দেহের অবস্থা দেখে বোঝা যাচ্ছে দিন পাঁচেক আগে মৃত্যু হয়েছে রবীন্দ্রনাথবাবুর।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, বাবার মৃত্যুর খবর দাদাকে জানাননি অজিত। অথচ, দাদা পর্ণশ্রীতেই থাকেন। তবে একটু দূরে। আচমকাই অশোক বাড়িতে বাবার সঙ্গে দেখা করতে এসে দেখেন, পচা গন্ধ বেরোচ্ছে ভেতর থেকে। তখনই তিনি খবর দেন পুলিশে। তখন বাড়িতে ছিলেন না অজিত।
রাজ্যের ট্যাবলো বাদ, সরব তৃণমূল কংগ্রেস
পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, দীর্ঘদিন ধরেই অবসাদে ভুগছিলেন অজিত। তার মধ্যে বাবার আকস্মিক মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি। ফলে, বাবার দেহ নিয়েই চুপচাপ দিন কাটাচ্ছিলেন। বাবাকে যাতে না নিয়ে যায় কেউ তাই দাদাকেও বাবার মৃত্যুর খবর দেননি। যদিও এব্যাপারে নিশ্চিত হতে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এমন কাজের নেপথ্য কারণ জানতে মনোবিশ্লেষকেরও দ্বারস্থ প্রশাসন হবে বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যেই দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে।