স্ত্রী পাগলের মতো পছন্দ করতেন বলিউডের হিরো (Bollywood actor) হৃত্বিক রোশনকে (Hrithik Roshan)। এই খবর জানার পর থেকেই মনে মনে ফুঁসতেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা দিনেশ্বর বুধীদাত। শেষপর্যন্ত চরম পথ বেছে নিলেন তিনি। শুধুমাত্র ঈর্ষা ও সন্দেহের জেরে নিজের স্ত্রীকে ছুরি মেরে হত্যা কলেন বছর ৩৩-এর ওই ব্যক্তি। স্ত্রীকে খুন করার পর নিজেও গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার (suicide) পথে বেছে নেন তিনি। নিউইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কুইন্সের দিনেশ্বর বুধীদাত বারটেন্ডার হিসাবে কর্মরত তাঁর স্ত্রী ডোনে ডোজয়কে (২৭) ছুরি মেরে হত্যা করেন, তারপর নিজেও আত্মহত্যা করেন। মৃত মহিলার বন্ধুরা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে বরাবরই স্ত্রী হৃত্বিক রোশনকে পছন্দ করেন বললে রেগে যেতেন ওই ব্যক্তি।
যে বারে কাজ করতেন ওই মহিলা, সেখানকারই এক সহকর্মী বলেন, "ও আমাকে বলেছিল যে যখনই ও বাড়িতে সিনেমা দেখতো বা গান শুনতো (যাতে হৃতিক রোশন আছে), ওর স্বামী সেটা বন্ধ করে দিতে বলতেন, কেননা তিনি হৃত্বিকের প্রতি নিজের স্ত্রীর ভাললাগাকে ঈর্ষা করতেন" । তিনি আরও বলেন যে ডোনে ডোজয় এতটাই হৃত্বিককে পছন্দ করতেন যে তাঁর অভিনীত কোনও ছবি দেখাই বাকি রাখতেন না।
প্রেমিকের সঙ্গে মিলে মা'কে খুন করে তিন দিন বাড়িতেই রেখে দিল মেয়ে
জানা গেছে, রোজকার অশান্তির জেরে স্বামীর বাড়ি থেকে চলে এসে আলাদা থাকতে চেয়েছিলেন ডোনে ডোজয়, কিন্তু স্বামী দিনেশ্বর বুধীদাত অনুরোধ করায় শেষপর্যন্ত সেখানে থাকতে রাজি হন মহিলা। আর তারপরেই স্ত্রীকে খুন করেন বুধীদাত।
পুলিশ জানিয়েছে, ওইদিন সন্ধ্যায় ওই ব্যক্তি তাঁর শালিকে মেসেজ করে জানান যে তিনি তাঁর স্ত্রীকে হত্যা করেছেন এবং তাঁদের অ্যাপার্টমেন্টের চাবিটি ফুলের পাত্রের নীচে পাওয়া যাবে। শালিকে ওই বার্তা দেওয়ার পরেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন ওই ব্যক্তি।
ছাত্রীকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার নারকীয় ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিল বাংলাদেশ
জানা গেছে এর আগেও স্ত্রীর উপর অত্যাচার করার অভিযোগ ওঠে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এমনকি আদালতের কাছে স্বামীর অত্যাচার থেকে বাঁচতে সুরক্ষাও চেয়েছিলেন মৃত ডোনে ডোজয়। এমনকি বন্ধুদের কাছেও নিজের স্বামীর বিরুদ্ধে অনুযোগ করেছিলেন ওই মহিলা। স্বামী যে তাঁকে মাঝেমধ্যেই দুর্ব্যবহার থেকে মারধর পর্যন্ত করতেন সে কথাও বন্ধুদের বলেছিলেন ওই মহিলা।
অনেকেই বলছেন অতিরিক্ত ভালবাসার জেরেই ঈর্ষাকাতর হয়ে স্ত্রীকে খুন করেছেন দিনেশ্বর বুধীদাত।
ঘটনার পর মৃত ডোনে ডোজয়ের কাকিমা, সিলভিন ডোজয় বলেন "ও একজন সুন্দরী বুদ্ধিমান যুবতী ছিল। অত্যন্ত কঠোর পরিশ্রমও করতো"। তাঁর স্বামীর সম্পর্কে ওই মহিলা আক্ষেপের সুরে বলেন, "ওঁর স্বামী একজন কাপুরুষ ছিলেন। নাহলে কে এমন আচরণ করেন? কোন মহিলার গায়ে আপনি হাত তুলবেন? এটি কাপুরুষোচিত কাজ। উনি যা করেছেন তা অবিশ্বাস্য। তাঁর এরকম করার কোনও অধিকার ছিল না"।