This Article is From Sep 01, 2019

গণিকাবৃত্তিতে নামতে না চাওয়ায় স্ত্রীকে খুন করে ধৃত স্বামী

স্ত্রী গণিকাবৃত্তিতে (Prostitution) নারাজ। আর তাই স্ত্রীকে খুন করেছিল স্বামী। মর্মান্তিক এই হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই পলাতক স্বামীকে খুঁজছিল পুলিশ।

গণিকাবৃত্তিতে নামতে না চাওয়ায় স্ত্রীকে খুন করে ধৃত স্বামী

কলকাতা থেকে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। (প্রতীকী চিত্র)

New Delhi:

স্ত্রী গণিকাবৃত্তিতে (Prostitution) নারাজ। আর তাই স্ত্রীকে খুন করেছিল স্বামী। প্রায় তিন সপ্তাহ আগে নয়াদিল্লির (New Delhi) এই মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই পলাতক স্বামীকে খুঁজছিল পুলিশ (Delhi Police)। অবশেষে তার সন্ধান মিলল কলকাতায়। অভিযুক্তের নাম জলিল শেখ। বয়স ২৭। ২০১৪ সালে তার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ফতেমা সর্দারের। ফতেমা জলিলের দ্বিতীয় স্ত্রী। দিল্লির পশ্চিং সাগরপুরে একটি ভাড়াবাড়িতে থাকত জলিল ও ফতেমা। জলিলের প্রথম স্ত্রী পশ্চিমবঙ্গে থাকেন। দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ আর্য জানিয়েছেন, জলিল ফতেমাকে জোর করত গণিকাবৃত্তিকে নামার জন্য। ফতেমা তীব্র প্রতিবাদ করতেন। বারবার আপত্তি শোনার পর গত ৫ আগস্ট স্ত্রীকে হত্যা করে ক্ষুব্ধ জলিল।

স্ত্রীর মৃতদেহ একটি কম্বলে মুড়িয়ে প্লাস্টিকের ব্যাগে ঢুকিয়ে রাখে জ‌লিল। সাগরপুরের এক ভাড়ার বিয়েবাড়ি ‘বারাত ঘর'-এর কাছে দেহটি লুকিয়ে সে পালিয়ে কলকাতা চলে যায়।

পুলিশ জানিয়েছে, একদিন পর ৬ আগস্ট দেহটি তারা উদ্ধার করে।

১৭ আগস্ট পুলিশ একটি ফোন পায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে। সেই ফোন‌ে তাদের জান‌ানো হয়, নোটিসে পুলিশের প্রকাশ করা ছবিটি তাঁদের আত্মীয়া দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা ফতেমা সর্দারের।

ওই ফোনে পুলিশকে ফতেমা সম্পর্কে আরও তথ্য জানানো হয়। পশ্চিম সাগরপুরে তিনি যে স্বামী জলিলের সঙ্গে বাস করেন, তাও বলা হয়। ময়না তদন্তের পরে ফতেমার দেহ তাঁর বাবা ও কাকার হাতে তুলে দেয় পুলিশ।

ডিসিপি আর্য জানিয়েছেন, বুধবার পুলিশ কলকাতার এক রেলস্টেশন থেকে জলিলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেখানে নিজের মোটরসাইকেল বিক্রি করতে এসেছিল সে।

এর আগে পশ্চিমবঙ্গে মানুষ পাচারের এক মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল জলিলকে।

.