কলকাতা: কলকাতার একটি পাবলিক বাসে হস্তমৈথুনকারী এক ব্যক্তির ভিডিও তুলে ফেসবুকে পোস্ট করলেন এক তরুণী যিনি কিনা ওই ব্যক্তির লক্ষ ছিলেন। কলকাতা পুলিশের ফেসবুক পেজেও তিনি ভিডিওটি দেন ন্যায় চেয়ে। ভিডিওটি ভাইরাল হয়। আট ঘণ্টা পর মধ্য কলকাতা থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ভিডিওটিতে প্রতিক্রিয়ার সংখ্যা 31000 এর বেশি। 23000 মন্তব্য এবং 35000 শেয়ারের মাধ্যমে দুপুর একটায় মাত্র এক ঘন্টার মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায় ভিডিওটি। কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে রাত 8.30 নাগাদ লোকটিকে গ্রেফতারের খবর পোস্ট করা হয়।
সোশ্যাল মিডিয়ার এই প্রভাব আজ আমাদের সমাজে দেখা গেলেও, ওই তরুণী যে সমস্যার সম্মুখীন হলেন তা নতুন নয়। এটিও ভাবার বিষয় যে তাকে এই ব্যাপারে প্রতিবাদ জানাতে বা সাহায্য করতে এগিয়ে আসেননি কেউই।
অনেক কলকতাবাসীর মতে এটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা তবে এই ঘটনায় কলকাতা পুলিশ অনেক বাহবা পেয়েছেন তাদের দ্রুত প্রতিক্রিয়ার জন্য।
তরুনীটির বক্তব্য অনুযায়ী ঘটনাটি এর আগেও ঘটেছে কিছুদিন আগেই। কিন্তু দুবারই কেউ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন নি। কন্ডাক্টর কিংবা সহযাত্রীদের কেউই লোকটিকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেবার জন্য এগিয়ে আসেননি।
"আমি এবং আমার বন্ধু হেদুয়া থেকে 30B/ 1 নম্বর বাসে করে বাড়ি ফিরছিলাম যখন এই লোকটি আমার দিকে তাকিয়ে অসভ্য আচরণ করছিল সকলের সামনেই। আমি যখন কন্ডাক্টর কে নালিশ জানাই, সে বলে আমি কি করতে পারি, আপনিই বলুন। জানিনা তার কি মনে হয়েছিল। আমি জোরে চিৎকার করতে থাকি এবং লোকটিকে ধরতে বলি কিন্তু কেউ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেননি।" লিখেছেন তরুণীটি।
তিনি এও জানান যে 15 দিন আগেও এই একই ঘটনা ঘটে এবং তিনি ভয় পেয়ে যান।
সেদিন তার কাছে কোনো প্রমাণ ছিল না বলে তিনি কিছু করতে পারেননি।
এই ঘটনার পরে কলকাতা পুলিশের তরফে একটি তল্লাশি চালানো হয় উত্তর কলকাতার হেদুয়া অঞ্চলে এবং ঐ বাসটি যে পথে চলে সেইসব জায়গাতে। সন্ধে আটটা নাগাদ অসিত রায় নামক ওই ব্যক্তিকে শ্যামপুকুর থেকে গ্রেফতার করা হয়।
কলকাতা পুলিশের পেজে ওই ব্যক্তির ছবি দিয়ে জানানো হয় এই সেই ব্যক্তি এবং এর শাস্তি অবধারিত।
অসিত রায় পেশায় একজন হকার যিনি হুগলির বাসিন্দা। পুলিশের মতে তিনি বিকৃত মস্তিষ্কের অধিকারী। তবে তার শাস্তি অবশ্যই হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
অবশ্য কি শাস্তি হবে সেটি সম্পর্কে স্পষ্ট কিছু বলা হয়নি।
সোশ্যাল মিডিয়ার এই প্রভাব আজ আমাদের সমাজে দেখা গেলেও, ওই তরুণী যে সমস্যার সম্মুখীন হলেন তা নতুন নয়। এটিও ভাবার বিষয় যে তাকে এই ব্যাপারে প্রতিবাদ জানাতে বা সাহায্য করতে এগিয়ে আসেননি কেউই।
Advertisement
তরুনীটির বক্তব্য অনুযায়ী ঘটনাটি এর আগেও ঘটেছে কিছুদিন আগেই। কিন্তু দুবারই কেউ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন নি। কন্ডাক্টর কিংবা সহযাত্রীদের কেউই লোকটিকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেবার জন্য এগিয়ে আসেননি।
Advertisement
তিনি এও জানান যে 15 দিন আগেও এই একই ঘটনা ঘটে এবং তিনি ভয় পেয়ে যান।
সেদিন তার কাছে কোনো প্রমাণ ছিল না বলে তিনি কিছু করতে পারেননি।
Advertisement
কলকাতা পুলিশের পেজে ওই ব্যক্তির ছবি দিয়ে জানানো হয় এই সেই ব্যক্তি এবং এর শাস্তি অবধারিত।
Advertisement
অবশ্য কি শাস্তি হবে সেটি সম্পর্কে স্পষ্ট কিছু বলা হয়নি।
COMMENTS
Advertisement