Read in English
This Article is From May 10, 2019

পুলিশ হেফাজতে প্রতিবন্ধী যুবকের মৃত্যু, ট্রেন অবরোধ পরিবারের সদস্যদের

নিজেদের দাবিকে সামনে রেখে রেল অবরোধ শুরু করেন পরিবারের সদস্যরা। পাশাপাশি লেবুতলা থানাতেও গোলমালের আঁচ গিয়ে পৌছয়।

Advertisement
Kolkata

পরিবারের দাবি পুলিশ যখন গৌতমকে গ্রেফতার করে তখন তিনি সুস্থই ছিলেন।

Highlights

  • পুলিশি হেফাজতে প্রতিবন্ধী যুবকের মৃত্যু, ট্রেন অবরোধ পরিবারের সদস্যদের
  • পুলিশের সঙ্গে খন্ড যুদ্ধ বেধে যায় পরিবারের সদস্যদের
  • পুলিশের দাবি অবরোধকারীরা তাদের লক্ষ্য করে ইট ছুড়তে থাকে
কলকাতা:

পুলিশ হেফাজতে প্রতিবন্ধী যুবকের মৃত্যু (Custodial Death In Bengal ) ঘিরে রণক্ষেত্রের  চেহারা নিল হাওড়ার লিলুয়া। মৃতের পরিবারের দাবি, যারা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে তাদের কড়া শাস্তি দিতে হবে। নিজেদের দাবিকে সামনে রেখে রেল অবরোধ শুরু করেন পরিবারের সদস্যরা। পাশাপাশি লেবুতলা থানাতেও গোলমালের আঁচ গিয়ে পৌছয়। পুলিশের সঙ্গে খন্ড যুদ্ধ বেধে যায় পরিবারের সদস্যদের। তাদের লাঠি চার্জ করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। পাল্টা পুলিশের দাবি অবরোধকারীরা তাদের লক্ষ্য করে ইট ছুড়তে থাকে। দীর্ঘক্ষণ ধরে উত্তেজনা বজায় থাকে এলাকায়।  ঘটনার সূত্রপাত এ মাসের  ৩ তারিখ। সেদিন  ওড়িশায় আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড়  ফণী। তার জেরে এ রাজ্য কয়েকটি জায়গায় রেল পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

বাগনানে হিংসা, গুলিতে মৃত্যু ভোটের দায়িত্বে থাকা জওয়ানের: সূ্ত্র

আগে থেকে না জানিয়ে রেল পরিষেবা বন্ধ করায় যাত্রীরা ক্ষুব্ধ হন। বারাসত স্টেশনে ভাঙচুর চলে। সেই ঘটনাতেই গৌতম মণ্ডলের নাম জড়ায়। তাঁকে গ্রেফতার করে দমদম সেন্ট্রাল জেলে নিয়ে আসা হয়। সূত্রের খবর জেলে নিয়ে আসার সময় তিনি গুরুতর অসুস্থ ছিলেন। এরপর সোমবার গৌতমের মা আরতি তাঁর  সঙ্গে দেখা করতে যান।  তথন গৌতম তাঁকে জানান তাঁর উপর অকথ্য অত্যাচার হচ্ছে। শুধু তাই নয়, অভিযোগ, গৌতমকে তাঁর মায়ের কাছেও ঘেষতে দেয়নি পুলিশ। এর ঠিক এক দিন পরে পুলিশের তরফে পরিবারকে জানানো হয় গৌতমের মৃত্যু হয়েছে।

Advertisement

পারিবারিক অশান্তির জের, স্ত্রী'কে জীবন্ত পুড়িয়ে মারল লিলুয়ার এক ব্যক্তি

গৌতমের স্ত্রী সপ্তমী  চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তিনি বলেন, "প্রথমেই আমরা পুলিশকে বলেছিলাম গৌতম শারীরিকভাবে সুস্থ নন। তাঁর পক্ষে কোনও ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত থাকার সম্ভাবনাই নেই। তাই তাঁকে মুক্তি দেওয়া হোক। কিন্তু পুলিশ কোনও কথাই শোনেনি"। আরতি বলেন, ‘আমার প্রতিবন্ধী ছেলেটাকে পুলিশ পিটিয়ে মারল। আমি বিচার চাই।' পরিবারের দাবি, পুলিশ যখন গৌতমকে গ্রেফতার করে তখন তিনি সুস্থই ছিলেন। যদিও জেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে জেলে আনার সময় গৌতমের শরীরে আঘাত ছিল। তাঁর যে পা দীর্ঘদিন ধরে অকেজো সেখানেও চোট লাগে। চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল তবু তাকে বাঁচানো যায়নি। 

Advertisement

ভুল দিক দিয়ে অটো চালনায় বাধা, পুলিশকে নির্মমভাবে মারল অটোচালক, দেখুন ভিডিও

Advertisement

ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন সেন্ট্রাল জেলের সুপারিনটেনডেন্ট দেবাশিস চক্রবর্তী। একই সঙ্গে বিচার বিভাগীয় এবং প্রশাসনিক তদন্ত হবে বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। ময়নাতদন্ত বাকি থাকায় গৌতমের পরিবার  এখনও তাঁর দেহ পায়নি।

Advertisement