This Article is From Oct 03, 2018

তনুশ্রী-নানা পাটেকর বিতর্ক: ‘হেনস্থা বরদাস্ত করা হবে না’ বললেন মেনকা গান্ধী

মেনকা গান্ধী জানান, #মি টু-এর মতো আন্দোলন ভারতেও চালু করা প্রয়োজন।

তনুশ্রী-নানা পাটেকর বিতর্ক: ‘হেনস্থা বরদাস্ত করা হবে না’ বললেন মেনকা গান্ধী

কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী মানেকা গান্ধী (এএনআই-এর সৌজন্যে)

হাইলাইটস

  • 'মি টু'-এর মতো আমাদেরও একটা আন্দোলন শুরু করা উচিত- বলছেন মানেকা গান্ধী
  • তনুশ্রীর অভিযোগ তিনি সিনেমার সেটে নানা পাটেকরের হাতে হেনস্থার শিকার হন
  • প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, টুইঙ্কেল খান্না, ফারহান আখতার তাঁর সমর্থনে মুখ খুলেছেন
New Delhi:

তনুশ্রী দত্ত-নানা পাটেকর বিতর্কে এ বার মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী মেনকা গান্ধী। মঙ্গলবার তাঁকে এ নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি এএনআই-কে বলেন, “যে কোনও রকমের হেনস্থা সহ্য করা হবে না।“ তিনি আরও বলেন, “আমাদের সরকারই প্রথম সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘সি-বক্স’ (she box) তৈরি করেছিল। যে কোনও মহিলা যদি সেখানে আমাদের জানাতেন, যে তাঁকে কোনওভাবে হেনস্থা করা হয়েছে তা হলে আমরা ব্যবস্থা নিয়ে থাকি।“

তনুশ্রী দত্ত একটা ১০ বছরের পুরনো বিতর্ককে সামনে এনেছেন। তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন, ২০০৮ সলে হর্ন ওকে প্লিজ ছবির সেটে তিনি নানা পাটেকরের দ্বারা হেনস্থার শিকার হন। অভিযোগ, শ্যুটিং চলাকালীন নানা তাঁর সঙ্গে রূঢ় ও খারাপ ব্যবহার করেন। তার পরে সিনেমাটি থেকে বেরিয়ে যান। তনুশ্রীর আরও অভিযোগ, নানা পাটেকর তাঁকে ভয় দেখানোর জন্য রাজনৈতিক ক্ষমতাশালী গুণ্ডাদেরও পাঠিয়েছিলেন।

এই বিতর্ক নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মেনকা গান্ধী আরও জানান, #মি টু-এর মতো আন্দোলন ভারতেও চালু করা প্রয়োজন। “আমার মনে হয় আমাদেরও মি টু ইন্ডিয়া ধরনের কোনও আন্দোলন শুরু করা উচিত, যেখানে কোনও মেয়ে যদি জীবনের কোনও সময় হেনস্থার শিকার হয়ে থাকেন তা তিনি জানাবেন। আমরা সেই অনুযায়ী তদন্ত শুরু করব।“ মেনকা গান্ধী আরও বলেন, “এই প্রথম বার আমাদের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে এমন সব কেস আমরা বিশদে খতিয়ে দেখছি।

তাঁর অভিযোগ, তনুশ্রী দত্ত আগেই বলেছেন, নানা পাটেকর যে মহিলাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন তা ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই আগে থেকেই জানেন। কিন্ত কেউ এ নিয়ে মুখ খোলেননি। রজনীকান্ত এবং অক্ষয় কুমার সব জেনেও নানার সঙ্গে সিনেমা করছেন এ নিয়েও তনুশ্রী তাঁদের সমালোচনা করেন। এ ছাড়াও তিনি পরিচালক রাকেশ সারঙ্গ, কোরিওগ্রাফার গণেশ আচার্য এবং প্রযোজক সামি সিদ্দিকিকে ‘কালপ্রিট’ বলে উল্লেখ করেছেন।

তনুশ্রী ২০০৮ সালে সিনেমার সেটে তাঁর সঙ্গে হওয়া হেনস্থার বিরুদ্ধে মুখ খোলার পরেই ইন্ডাস্ট্রির অনেকে তাঁর সমর্থনে নিজেদের বক্তব্য রেখেছেন। টুইঙ্কেল খান্না, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, রিচা চাড্ডা, সোনম কাপুর, পরিণীতি চোপড়া ও ফারহান আখতার তনুশ্রী দত্তের ‘সাহসী’ পদক্ষেপের সমর্থনে ট্যুইট করেছেন। সিআইএনটিএএ (CINTAA)তরফে জানানো এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “২০০৮ সালের মার্চ মাসে মিস তনুশ্রী দত্তের দায়ের করা অভিযোগপত্র দেখার পরে আমাদের মনে হয়েছে ২০০৮ সালে সিআইএনটিএএ এবং আইএফটিপিসি (তৎকালীন এএমপিটিপিপি)-র জয়েন্ট ডিসপিউট সেটলমেন্ট কমিটির সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল না।কারণ সেখানে যৌন হেনস্থার মতো মুখ্য অভিযোগকে তেমন গুরুত্বই দেওয়া হয়নি।

এক সময়ের বিউটি কুইন তনুশ্রী দত্ত ২০০৫ সালে ‘আশিক বানায়া আপনে’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন। এ ছাড়াও ঢোল, চকলেট অ্যন্ড অ্যাপার্টমেন্ট-এর মতো সিনেমায় তাঁকে দেখা গিয়েছে। নানা পাটেকরকে শেষ দেখা গিয়েছে ‘কালা’ সিনেমায়।

.