Read in English
This Article is From Dec 24, 2019

সিএএ বিরোধী আন্দোলনে ম্যাঙ্গালুরুতে হিংসা, অভিযুক্তদের ভিডিও প্রকাশ পুলিশের

এই ভিডিও প্রকাশের ব্যাপারে ফেসবুকে ম্যাঙ্গালুরু পুলিশ নাগরিকদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। লিখেছে, "আমরা দাঙ্গাবাজদের কিছু ছবি পোস্ট করলাম। যাতে অভিযুক্তদের পরিচয় ও ঠিকানা জানা যেতে পারে।"

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by
ম্যাঙ্গালুরু:

ম্যাঙ্গালুরুর সিএএ-বিরোধী আন্দোলনের জেরে ছড়িয়ে পড়া হিংসার একাধিক ভিডিও এবার প্রকাশ্যে আনল পুলিশ। ভিডিও প্রকাশ করে উপকূলীয় ওই শহরের পুলিশ ঘুরিয়ে দাবি করেছে, ওই হিংসা পরিকল্পিত ছিল। প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, প্রতিবাদীরা অটো-বোঝাই করে বড়-বড় পাথর এনেছিল। সেই পাথর ছুঁড়ে সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙার চেষ্টা করা হয়েছিল। একটা ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, চারদিকে আগুন জ্বলছে এমন মুহূর্তে মুখ বেঁধে এক প্রতিবাদী পাথর ছুঁড়ছে। আর একটা ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, একজন বাঁশ দিয়ে সিসিটিভি ভাঙার চেষ্টা করছেন।

এই ভিডিও প্রকাশের ব্যাপারে ফেসবুকে ম্যাঙ্গালুরু পুলিশ নাগরিকদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। লিখেছে, "আমরা দাঙ্গাবাজদের কিছু ছবি পোস্ট করলাম। যাতে অভিযুক্তদের পরিচয় ও ঠিকানা জানা যেতে পারে। এই ছবি ও ভিডিওগুলি আমাদের কাছে পাঠানোর জন্য নাগরিকদের ধন্যবাদ।" এবিষয়ে কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাসভরাজ বোম্মানি বিরোধীদের দুষে বলেছেন, দুষ্কৃতীদের নিরীহ বলা হচ্ছে কিন্তু ভিডিও বলে দিচ্ছে পাথরবাজদের তান্ডব কতটা ভয়াবহ ছিল। এই ভিডিওগুলো আমাদের সিসিটিভি আর সংবাদমাধ্যমের সংগ্রহ করা। এমনকি আইন-শৃঙ্খলার এমন অবনতির পরেও পুলিশ যথেষ্ট নিয়ন্ত্রিত ছিল বলেও দাবি করেছেন তিনি।

তিনি সংমাধ্যমকে অভিযোগ করে বলেন, "পরিকল্পিত ভাবে ওরা মুখে কাপড় বেঁধে এসে সিসিটিভি ভেঙেছে।সংগঠিত সন্ত্রাস-লুঠপাট চালিয়েছে। পাথর ছুঁড়তে ইন্ধন জুগিয়েছে আর পেট্রল বোমা ছুঁড়েছে। তবে পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কর্ণাটক কংগ্রেসের প্রধান দীনেশ গুন্ডু রাও দাবি করেছেন, পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়েছিল। তাই প্রতিবাদীদের মুখ ঢাকা ছাড়া বিকল্প ছিল না। এবিষয়ে ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের ইঙ্গিত দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা। ওই হিংসার ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছিলো। জখম হয়েছিলেন পুলিশ কর্মীরা। ঘটনার বিরোধিতা করে পুলিশের অতিসক্রিয়তাকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিরোধী শিবির।

Advertisement

সংশোধিত নাগরিক আইনে এই প্রথমবার ভারতের নাগরিকত্ব পরীক্ষা হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বলা হয়েছে, এই আইনে মুসলিম অধ্যুষিত রাষ্ট্রগুলি থেকে ধর্মের ভিত্তিতে শরণার্থী হয়ে ২০১৫ সালের আগে এদেশে আসা মানুষেরা নাগরিকত্ব পাবেন। যদিও বিরোধীদের অভিযোগ, সংবিধানের ধর্মনিরেপেক্ষ কাঠামো ভেঙে মুসলিমদের সঙ্গে বিভেদ করতে এই আইনের রূপায়ণ। 

Advertisement