Manipur Mob Violence: ফারুক খানকে হত্যার অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে মণিপুর পুলিশ
ইম্ফল: উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরে ক্রমবর্ধমান হিংস্রতা এবং গণপ্রহারে মৃত্যুর ঘটনা বাড়তে থাকায় সরকার একটি আইন প্রণয়নের লক্ষ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মণিপুর গণ হিংসা নিয়ন্ত্রণ ও নিষেধাজ্ঞা বিল (Manipur Mob Violence Control and Prohibition Bill) নামে একটি আইন - রাজ্য পরিষদের পরবর্তী অধিবেশনে উপস্থাপন করা হবে। গত 13 সেপ্টেম্বর পশ্চিম ইম্ফল জেলার থারোইজাম (Tharoijam) এলাকা থেকে একটি স্কুটার চুরির চেষ্টার অপবাদে গণপিটুনিতে মৃত্যু হয় ফারুক খান (Farooq Khan) নামের এক ম্যানেজমেন্ট পড়ুয়ার। এই ভয়ঙ্কর ঘটনার পরেই গণ হিংসা নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে নড়েচড়ে বসে সরকার।
বুধবার অনুষ্ঠিত এক মন্ত্রিসভায় সভায় গণ হিংসা নিয়ন্ত্রণের আইন চালু করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। রাজ্য সরকারের মুখপাত্র থংগাম বিশ্বজিৎ সিং এর আগেই সাধারণ মানুষের আইন নিজের হাতে নেওয়ার এই প্রবণতার তীব্র নিন্দা করেন। রাজ্যে গণপিটুনিতে মৃত্যু ক্রমশই বাড়তে থাকায় তা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায় সরকারের।
থোউবাল জেলার লিলং এর বাসিন্দা ফারুক খানকে হত্যার অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে মণিপুর পুলিশ। গণ হত্যার ভিডিও প্রকাশের পরই একজন সাব ইন্সপেক্টর সহ চারজন পুলিশকর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। অভিযোগ ওই হত্যাকাণ্ড চলার সময় তাঁরা ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে ছিলেন। শীর্ষস্থানীয় একজন পুলিশ কর্মকর্তা যোগেশ্বর হাওবিজাম জানিয়েছেন, "ফারুক তখনও জীবিত ছিল, সেই অবস্থাতেও ঘটনাস্থলেই দাঁড়িয়েছিলেন ওই চারজন পুলিশ"। অভ্যন্তরীণ তদন্ত চলা পর্যন্ত তাঁদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। গণপিটুনির এই ঘটনায় নিন্দায় সরব হন সমাজকর্মীরাও।
মণিপুর মানবাধিকার কমিশন এই ঘটনার তদন্তের জন্য রাজ্য মহাপরিচালককে নির্দেশ দিয়েছে এবং 22 সেপ্টেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট চেয়েছে।
বিজেপি শাসিত মণিপুর সাম্প্রতিক কয়েক মাসে বেশ কয়েকটি গণহত্যা দেখেছে। কয়েক মাস আগে কঙ্গপোকপি জেলায় শিশুচোর সন্দেহে দুইজনকে নিগ্রহ করেন সাধারণ মানুষ।